অনুকরণীয় সেই বিদ্যাপিঠে এবারই প্রথম শতভাগ বৃত্তি লাভ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবারই প্রথম শতভাগ বৃত্তি অর্জন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ বিদ্যালয় থেকে এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ১১ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১ জন সাধারণ বৃত্তি লাভ করেছে। ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৫৯ জন ও সাধারণে ৭৫ জনসহ মোট ১৩৪ জন বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্যে ধর্মপাশা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল বৃত্তিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় সম্পর্কে স্থানীয়দের এক সময় নেতিবাচক ধারণা ছিল। ফলে বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার বিত্তবান বা অভিভাবকেরা এ বিদ্যালয়কে উপেক্ষা করে অন্য বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্টেনে তাদের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর প্রবণতা ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজমুল হায়দারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পাল্টে গেছে বিদ্যালয়ে সার্বিক চিত্র। বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধন, শিক্ষার গুণগত মান, নিয়ম শৃঙ্খলা, সহ-পাঠ্যক্রম কার্যক্রমের (কো-কারিকুলার এক্টিভিটিজ) ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টি এমন অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। তাই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অনুকরণ করতে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রায়ই এ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ‘অনুকরণীয় বিদ্যাপিঠ’- শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজমুল হায়দার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই শতভাগ বৃত্তি অর্জনে আমরা আনন্দিত। এ বিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারাবাকিতা অব্যাহত থাকবে এমনটি প্রত্যাশা করছি।’