বিশেষ প্রতিনিধি
আমনের ফলনে কিছুটা স্বস্তিতে সুনামগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। বোরো প্রধান সুনামগঞ্জ জেলায় এখন আমন চাষাবাদও হয় উল্লেখ করার মত জমিতে। এবছর জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে। পহেলা অগ্রহায়ণ থেকে শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধান কাটা উৎসব। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ এখন হাওরের উজান এলাকার বাতাসে।
সুনামগঞ্জের অপক্ষোকৃত উঁচু এলাকা দোয়ারাবাজারে ১৪ হাজার ছয়শ ২৫, ছাতকে ১২ হাজার নয়শ ৫৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১১ হাজার ছয়শ ১০, জগন্নাথপুরে নয় হাজার পাঁচশ ৫৫, বিশ^ম্ভরপুরে আট হাজার সাতশ ৫৫, তাহিরপুরে ছয় হাজার তিনশ ৩৫, ধর্মপাশায় চার হাজার পাঁচশ ৭০, শান্তিগঞ্জে চার হাজার দুইশ ১০, দিরাইয়ে দুই হাজার সাতশ ২৫, শাল্লায় দুই হাজার একশ ৩০ এবং জামালগঞ্জে চার হাজার পাঁচশ ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে ব্রি-৪৯ এবং বিআর ২২ জাতের ধান। ব্রি-৪৯ ধানের ফলন প্রতি একরে (তিন কেয়ারে এক একর) ৫০ থেকে ৫৫ মণ এবং বিআর হয়েছে প্রতি একরে ৪০ থেকে ৪৫ মণ। কৃষকরা বললেন, বন্যায় সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে বিপন্ন ছিলেন, আমনের ফলনে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস খুঁজছেন তারা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুরের কৃষক আলতু মিয়া বললেন, ভয়াবহ বন্যায় সবকিছু ডুবে নষ্ট হয়েছে। ১৭ জুনের বন্যার আঘাতে বেঁচে থাকার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরমধ্যেই নিজের ও গ্রামের অন্যদের কিছু জমি বর্গা করেছিলাম। ধান মুঠামুঠি ভালো হয়েছে। সকল ধান ঘরে ওঠালে বিপদ কিছু কাটবে। কেবল আলতু মিয়া নয়। আমনচাষীদের ঘরে ঘরে আশার প্রদীপ জ¦লেছে গেল এক সপ্তাহ ধরে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানালেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত দশ হাজার একশ হেক্টর আমন জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে। উৎপাদন হবে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান।
- সর্বোচ্চ সংখ্যক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- সরু সড়ক ও দুই বেইলি সেতুতে মহাদুর্ভোগ