শান্তিগঞ্জ অফিস
শান্তিগঞ্জে কবরস্থানের মাটি কেটে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও ও শ্যামনগর গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে।
এ ব্যাপারে গত ১ ফেব্রæয়ারি পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর গ্রামের ইউপি সদস্য এমরান হোসেন এবং শ্যামনগর ও কান্দিগাঁও গ্রামের ১০ জন বাদী হয়ে পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের রশিদ উল্লাহর ছেলে তারিফ উল্লা এবং একই গ্রামের আরজ আলীর বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, শ্যামনগর ও পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের পশ্চিমে চালিয়ারনির হাওর সংলগ্ন কান্দিগাঁও মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২১৯৯ দাগে ৬ একর ১০ শতক জায়গায় উভয় গ্রামবাসীর কবরস্থান রয়েছে। গ্রামবাসীকে না জানিয়ে কবরস্থানের জায়গা থেকে খাই হাওরের ৪২ নম্বর পিআইসি কমিটির কাছে মাটি বিক্রি করে দেন তারিফ উল্লাহ ও আরজ আলী। গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে পিআইসি কমিটি লোকজন এক্সকেভেটর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে গভীর গর্ত করে প্রায় ৬০ শতক জায়গা মাটি কেটে বাঁধে নিয়ে যান।
শনিবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য এমরান হোসেন, শ্যামনগর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন, শ্যামনগর গ্রামের আলাল হোসেন, আব্দুল হামিদ, সেনু মিয়া, মাসুক মিয়া, পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের জিয়াউর রহমান, ছুয়াব আলী, কাচা মিয়া সহ অনেকেই জানান, এই কবরস্থানে শ্যামনগর, কান্দিগাঁও সহ আশপাশের লোকজন মারা গেলে কবর দেওয়া হয়। এই কবরস্থানের মাটি বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের তারিফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বেরিবাঁধে মাটি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ৪২ নং পিআইসির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তারিফ উল্লা নিজের জায়গার মাটি বলে আমাদেরকে কেটে নেওয়ার জন্য বলেছেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহসিলদারকে পাঠিয়েছি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান জানান, তদন্ত মোতাবেক জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে
- জায়গার দখল নিতে বৃক্ষ নিধন/ফসলি জমি নষ্টের অভিযোগ