জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
এ যেন গায়ে হলুদের কনে। মুখটা হলুদ আর শরীরে সবুজ শাড়ী। হঠাৎ দেখায় এমন মনে হতেই পারে। যদিও আদতে তেমন কিছুই নয়। সবগুলো ফুল গাছ। সবুজ হ্যাংলা গাছের চূড়ায় বিরাট আকারের হলুদ ফুল। গোলাকার ফুলগুলো চেয়ে আছে সুর্যের দিকে, তাই নাম হয়েছে সূর্যমুখী। এক সময় শখের বশে ফুল হিসাবে ব্যবহৃত হলেও এখন ভোজ্যতেলের সংকটে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে। তাই ভোজ্যতেলের সংকটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সূর্যমুখী চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও চাষ হচ্ছে সুর্যমূখী ফুলের। দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে সুর্যমূখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে সার ও বীজ। প্রণোদনা আর প্রশিক্ষণে সূর্যমুখী চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। সূর্যমুখীর তেলের বাজার বড় হচ্ছে দেশে। রূপ আর তেল দুই’ই ঢেলে দিচ্ছে সূর্যমুখী। রূপে সন্তুষ্ট পর্যটক আর লাভে সন্তুষ্ট কৃষক। ফলে দিন দিন উপজেলায় বাড়ছে সূর্যমুখী চাষ।
জামালগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের চাষ হচ্ছে সূর্যমুখীর। উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে সূর্যমুখীর। ইতোমধ্যে প্রতিটি গাছে ফুলে ভরে গেছে। প্রতি বিঘায় ৫—৬ মণ বীজ হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
ভীমখালী ইউনিয়নের জাল্লাবাজ গ্রামের কৃষক বাহারাম মিয়া ও আজিজুল হক বলেন, ২বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। খরচ কম লাভ বেশী হওয়ায় ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। আগামীতে আরো বেশী করে সূর্যমুখী চাষ করব।
জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানান, গত তিন বছর ধরে জামালগঞ্জ উপজেলা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। আবাদ বাড়াতে প্রণোদনা ও পুর্নবাসনের আওতায় বিনামূল্যে বীজ সার দেয়া হয়েছে। যার কারণে দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। এই বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। দেশে ভোজ্য তেলের সংকট নিরসনে সূর্যমুখী ও সরিষা চাষের দিকে সরকার নজর দিচ্ছে।
- দৃষ্টিনন্দন উপজেলায় পরিণত হয়েছে বিশ্বম্ভরপুর
- ওবায়দুল কাদের বেলা ১১ টায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেবেন