জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার এ উপলক্ষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, হামদ-নাত পরিবেশন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১০টায় জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের কনফারেন্স হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান। জাতীয় শোক দিবস এর অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বাসা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফরিদা ইয়াসমিন এর সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সহকারী শিক্ষক ইমদাদুল হক জুবায়ের ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক মো. আতাউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য ও অবদান এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ ও পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আহসান হাবীব রানা, সহকারী শিক্ষক আসমা বেগম, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজানা ইসলাম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঐশিক সাহা।
অনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ‘সেই রাতের কল্পকাহিনী’ কবিতা আবৃত্তি করেন অষ্টম (ইভি) শ্রেণির শিক্ষার্থী সেঁজুতি পাল এবং কবি মহাদেব সাহা এর ‘সেই দিনটি কেমন ছিল’ কবিতা আবৃত্তি করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তারিফ এলাহী। হামদ-নাত পরিবেশন করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান নাদিম ও নবম শ্রণির শিক্ষার্থী তোফা রোদশী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (সেনা সদর) থেকে সরবরাহকৃত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর সংকলিত ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতির জন্য ১৫ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। সেই শোক আমাদের হৃদয়কে উদ্বেলিত করে, জাতির পিতা হারানোর সে আর্তি আমাদের মোহিত করে। ১৫ আগস্ট কতেক স্বার্থান্বেষী, উচ্চাভিলাষী, পথভ্রষ্ট ও রাজদ্রোহী ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহিদ হন। যা বাংলা তথা বিশ্ব ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় এবং শোকাবহ ইতিহাস। এই ইতিহাসে রয়েছে আমাদের গভীর উপলব্ধি এবং বেদনাময় শিক্ষা। তবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিত হতে হবে।
অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষার্থীদেরকে দিক-নির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠ অবদান স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, এই স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ তাই তোমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, সোনার মানুষ হতে হবে। কারণ সুশিক্ষার মূলে থাকে দেশ, মানুষ ও মানব কল্যাণ। তোমাদেরকে সেই শিক্ষা অর্জন করতে হবে যা তোমাদেরকে সচেতন, সংবেদনশীল, নৈতিকতাসম্পন্ন, সৃষ্টিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও মানবিক করে তুলবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে তোমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে তোমাদেরকে জ্যোতিস্মান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিকশিত হয়ে দেশ ও জাতির অমাবস্যা পূর্ণিমা রাতের আলোয় ভরিয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় গৌরবদীপ্ত সাফল্যের জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরলসভাবে সম্পৃক্ত থাকায় শিক্ষকদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম ফাজলে এলাহী এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আরিফ সেলিম রেজা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
- আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে খাবার বিতরণ
- দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়াল