স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জে শেষ হলো ইছাগড়ি কিত্তায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা। বিজয়ী ঘোড়া মালিকদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘোষণা করেন ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল আজাদ।
শনিবার সকালে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ইছাগড়ি কিত্তায় সাদকপুর, শ্রীনাথপুর ও ইছাগড়ি গ্রামের আয়োজনে শুরু হয় ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা। ঘোড়দৌঁড়ে অংশ নিতে সুনামগঞ্জের বাইরে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ অন্যান্য জেলা উপজেলা থেকেও ঘোড়া নিয়ে আসেন সৌখিন ঘোড়া মালিকরা। তিনদিনের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে দেড়শ’ অধিক ঘোড়া। বিশাল এই ঘোড় দৌঁড় দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
প্রতিযোগিতার প্রত্যেক পর্বে তিনটি করে ঘোড়া অংশ নেয়। খেলার মূল আকর্ষণ সর্বশেষ পর্বে বিকালে অংশ নেয় সোনার পুতুল, সোনার মুকুট ও সূর্যকিরণ নামের সুঠাম দেহের অধিকারী তিনটি ঘোড়া। শেষ পর্যন্ত সোনার মুকুট ও সূর্যকিরণকে পেছনে ফেলে আবারও জয়ী হয় সোনার পুতুল। এর আগেও একই ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় সোনার পুতুল। প্রতিযোগিতায় গরু, ছাগল সহ শতাধিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
চ্যাম্পিয়ন সোনার পুতুল ঘোড়ার মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩ বছর আগে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আমি ঘোড়া (সোনার পুতুল) কিনেছিলাম। সব প্রতিযোগিতায়ই আমার ঘোড়া প্রথম স্থান অধিকার করে। এখন সোনার পুতুল ঘোড়ার নাম ডাক মানুষের মুখে মুখে।
পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে আয়োজক ও উদ্যেক্তা প্রবাসী আবুল আজাদ বলেন, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি যতো বেশি চর্চা করা হবে তত আমরা সমৃদ্ধ হবো। এর আগেও আমার ইউনিয়নে ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই প্রতিযোগিতা দেখে আমার গ্রাম ও আশপাশের গ্রামের মানুষের তৃপ্তি মেটেনি- তাই এই আয়োজন।
- হাওরে মন্ত্রী আসছেন, তাই…
- খরায় বিবর্ণ ধানের চারা/ দুশ্চিন্তায় কৃষক, হাওরে দোয়া