সোহেল তালুকদার, শান্তিগঞ্জ
জেলার চার উপজেলা (শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক) জুড়ে বিস্পৃত দেখার হাওরকে বলা হয় বোরো ফসলের শস্য ভান্ডার। এই হাওরে রয়েছে ১২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। সম্প্রতি শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পাশের মাটি ধসে পড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ।
জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলা দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তার বাঁধ ৩ নম্বর পিআইসির অধীন। প্রায় ৩০১.০০ মিটার বাঁধের কাজ চলছে। গত বছরের বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকার উত্তর পাশে ‘ছাইয়া কিত্তা’ নামক স্থানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মহাসিং নদী ও বাঁধের পশ্চিম থেকে বালি মাটি ও ভিট বালি উত্তোলন করে। এতে বাঁধের দুই পাশে মহাসিং নদীর অংশে ও হাওরের অংশে প্রায় ২৭ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ছাইয়া কিত্তা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে বাঁধের দুই পাশে গর্তের কারণে গত ৭ থেকে ৮ দিন ধরে মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে। বাঁধের দুই পাশে ধস শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ।
রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখার হাওরের বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরী করে মাটি ফেলা হচ্ছে। কিন্তু বাঁধের দুই পাশে গভীর গর্ত থাকায় মাটি ধরে রাখা যাচ্ছে না।
আস্তমা গ্রামের কৃষক ও পিআইসি কমিটির সভাপতি আজিমুল হক জানান, কাজে শুরুর পর বাঁধের দুই পাশে ভাঙন শুরু হয়েছে। কোন ভাবেই ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। দুইটি গভীর গর্তে মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। বৈশাখ মাসে হাওরে পানি এলে এই বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। আমি উপজেলায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সদস্য সচিব মাহবুব আলম বলেন, দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা হাওরের বাঁধ হুমকির মুখে। আমি ইতোমধ্যে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। পূর্ব পাশে নদীর গর্তে মাটি ভরাট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, এ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
- ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিলো কে ?
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল