জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
মাঘের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসে প্রতিদিন। কিন্তু মঙ্গলবার সেই চিত্র ছিল ভিন্ন। শিক্ষার্থীদের কাঁধে ছিল না স্কুল ব্যাগ। সবাই নানান রকম বাহারি পিঠা নিয়ে এসেছে স্কুলে।
পৌষের বিদায় আর মাঘের মাঝামাঝিতে এসে আবহমান বাংলার চিরায়িত সংস্কৃতি পিঠা উৎসব হয়েছে জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকন পিঠা, ছিটা পিটা, হারিচাপটা সহ অনেক পিঠা নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
মঙ্গলবার সকালে জামালগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পিটা পুলির উৎসব বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নিয়ে মিলন মেলায় পরিণত হয়।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও জামালগঞ্জ লেডিস ক্লাবের সভাপতি সুনন্দা রাণী মোদক, বিদ্যালয়ের সভাপতি এম নবী হোসেন, প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ চক্রবর্তী, পরিচালনা কমিটির সদস্য খন্দকার মুজিবুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন, আব্দুন নুর আখঞ্জি, হেনা আক্তার প্রমুখ।
জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষন চক্রবর্তী বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার সাথে জড়িয়ে আছে পিঠা সংস্কৃতি। আধুনিকায়নসহ নানা কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক পিঠার সাথে অপরিচিত। এমন অনেক পিঠা আছে যা আমাদের সমাজ থেকে একেবারে বিলুপ্তির পথে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরী পিঠা উৎসবে বিক্রিরও ব্যবস্থা করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা রানী মোদক জানান, শীতের সময় পিঠাপুলির স্বাদ সব থেকে আলাদা। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে পিঠার আয়োজন থাকলেও উপজেলায় রয়েছে ভিন্নতা। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক নতুন পিঠার সাথে পরিচিত হতে পেরেছে। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পিঠাপুলির আয়োজন দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমাদের লেডিস ক্লাবের পক্ষথেকেও উপজেলায় পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন করা হবে।
- শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা, সেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন
- বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু