টাটকা সবজির হাট মন্নান ঘাট

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪ ঘন্টা জমজমাট থাকে মন্নানঘাট বাজার। জামালগ্ঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গ্রামীণ এই হাটের অবস্থান। এটি মানুষের কাছে টাটকা সবজির হাট নামে পরিচিত। আশেপাশের গ্রামের চাষিরা এই হাটের বিক্রেতা। স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসে পাইকাররা। এছাড়াও এলাকার সবজি ক্রেতারা এখান থেকে টাটকা সবজি কিনেন।
গত রবিবার বিকেল ৩টার দিকে সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার মান্নানঘাট বাজারে কয়েকজন সবজি বিক্রেতা খোলা বাজারে বসে সবজি বিক্রি করছেন। ক্রেতারা দরদাম করে সবজি কিনছেন। শিম, মুলা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ, ধনেপাতা, খিরা, আলু, কাচা মরিচ, করলা সহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি বিক্রি হচ্ছে।
হাটের দক্ষিণ দিকে টমেটো, বাধাকপি সহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করতে বেেসছে কাশীপুর গ্রামের শুক্কুর আলী, গোলাপ মিয়া, বাজারের পার্শবর্তী সংবাদপুর গ্রামের অবিদ মিয়া, মুসলিম মিয়া। তারা জানান, ৫ বছর যাবত সবজি বিক্রি করছি। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়।
প্রতিদিন তারা উৎপাদিত সবজি মন্নান ঘাট বাজারে বিক্রি করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে খুচরা ও পাইকারী ক্রেতারা এখান থেকে পাইকারী দরে সবজি কিনে নেন।
সংবাদপুর, লালপুর, কাশীপুর, কালাগুজা, শরীফপুর, ভুতিয়ারপুর, সুজাতপুর, রামপুর, সৈয়দনগরের গ্রামের মানুষ সবজি উৎপাদন করে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। ১ঘন্টা মন্নান ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে কেউ নৌকায়, কেউ মিনি ট্রাক, কেউ সিএনজি, কেউ অটো রিক্সা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসেছেন টাটকা সবজি কিনতে। এছাড়াও ১০টি কাচা মালের আড়তে সবজি কিনে প্যকেট করে নৌকা কিংবা লঞ্চে নেওয়ার জন্য কার্টুন করছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ বলেন, মন্নান ঘাট বাজারটি ১দশক যাবত সবজির হাট হিসাবে পরিচিত। এই হাটে জমি থেকে সবজি সংগ্রহ করে অথবা নিজের চাষ করা জমি থেকে মন্নানঘাট বাজারে নিয়ে আসে। যার কারণে শীত মৌসুমে টাটকা সবজি হাট হিসাবে মন্নান ঘাট পরিচিত। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে সবজি নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ভৈরব, সুনামগঞ্জ ছাড়াও পার্শবর্তী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার সবজি মন্নান ঘাট বাজারে বিক্রি হয়।