লিপসন আহমদ
ঠাণ্ডা আবহাওয়া বইতেই সুনামগঞ্জে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগবালাই বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার ও শ্বাসকষ্টে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গেল ৩ দিনে ২৬০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঠা-ায় আক্রান্ত এক বছর বয়সি রোগী ৪২ জন এবং ১৪ বছর বয়সি ২১৮ জন। অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে সব সময়ই ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। রক্ষা পেতে গরম কাপড় ব্যবহার করা জরুরি। ঠা-া লাগলেই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
শনিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড়ে ঠাসা। বেডে জায়গা না পেয়ে অনেকে মেঝে ও ওয়ার্ডের বাইরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসময় একবেড শেয়ার করে তিন থেকে চারজন রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। রোগীর চাপ বেশি থাকায় দুর্গন্ধযুক্ত-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়েছে দুই শিশু ওয়ার্ডেই।
হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা জানান, শিশু ওয়ার্ড আছে দুইটি। দুই ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৮০ টি। গত তিন দিনে একবছর বয়সি ওয়ার্ডে (নিওনেটাল ওয়ার্ড) ৪২ জন এবং ১৪ বছর বয়সি শিশু ওয়ার্ডে ২১৮ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এরা সবাই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
সুনামগঞ্জের বনগাঁও থেকে শিশু রাসেলকে নিয়ে আসা রোগীর অভিভাবক রাবেয়া খাতুন বলেন, এক বছরের ছেলেকে নিয়ে গত তিন দিন ধরে ভর্তি হয়েছি। অন্য আরও ২ শিশু রোগীর সঙ্গে ছেলেকে একই শয্যায় রেখেছি। শয্যা শেয়ার করতে গিয়ে বাচ্চা নিয়ে ভালো করে বসতেই পারছি না।
রোগী তাজিয়া খাতুনের মা জুলেখা খাতুন বললেন, আমার মেয়ে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত। গত সাতদিন ধরে এক বেডে দুজন শেয়ার করে আছি। দিনে যেমন তেমন, রাতে বসে কাটাতে হয়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী ডা. সৈকত দাস বললেন, জ্বর-কাশি হলেই আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অধিকাংশ শিশু বাড়ীতেই সুস্থ্য হতে পারে। আমাদের কাছে রোগী এলে আমরা দেখি নিউমোনিয়াজনিত সমস্যা কিনা। নিউমোনিয়া হলেই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বেডের তুলনায় হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি, সেজন্য চিকিৎসা সেবা দিতে আমাদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আনিছুর রহমান বললেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য জ¦রের রোগী বেশি। আমাদের চিকিৎসক কর্মচারীরা সেবা দেবার চেষ্টা করছেন।
- ‘রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণ সময়ের দাবি’
- তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক/ সড়কে গর্ত করে চাটাই নির্মাণ!