তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক/ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে সিএনজি

তাহিরপুর প্রতিনিধি
তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কমলেশ চক্রবর্তী জানান, চাকুরীর সুবাদে সরকারী বন্ধ ছাড়া প্রতিদিনই তাহিরপুরে আসা যাওয়া করতে হয়। ২০২২ সালে তিনি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসে চাকুরীতে যোগদান করেন। সে সময় তিনি সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর উপজেলা সদরে ১০০ টাকা ভাড়ায় যাতায়াত করতেন। তিনি আরও জানান, সুনামগঞ্জ-দিরাই উপজেলা সদরে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া ৮০ টাকা হলেও একই দূরত্বে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সিএনজি’র ভাড়া ১২০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
মধ্য তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত পাটুয়ারী বলেন, ২০২২ সালে বন্যা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের রাধনগর থেকে চালবন পর্যন্ত রাস্তা স্থানে স্থানে ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী ছিল। সে সময় সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হিসাবে ১২০ টাকা আদায় করতো। এখন সড়ক ও জনপথ রাস্তাটি মেরামত করার পরও সিএনজি জালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে।
দিরাই রাস্তায় চলাচলকারী সুনামগঞ্জ শহরের নতুন পাড়ার বাসিন্দা নিউটন রায় বলেন, তিনি সুনামগঞ্জ শহর থেকে তাহিরপুর উপজেলা সদর ও দিরাই উপজেলা সদরে প্রায়ই যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু একই দূরত্বে তাহিরপুর উপজেলা সদরে যাতায়াতে অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে সিএনজি চালকরা।
উজান তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান কবির বলেন, বন্যার পরে রাস্তা খারাপ অজুহাত দেখিয়ে সিএনজি চালকরা ১০০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা নিতো। এখন রাস্তা ভাল থাকার পরও তারা ১২০ টাকাই নিচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তাহিরপুর উপজেলা সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি সে থেকেই আমরা কিছুটা ভাড়া বৃদ্ধি করতে হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি সিএনজি চালকদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন।