আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর
তাহিরপুরে বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। সীমান্তের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৮.০৫ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নি¤œাঞ্চলের বসতবাড়ি, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। এ দুরাবস্থায় গত দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিচ্ছে না সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে সোলার প্যানেলেও চার্জ হচ্ছে না। এ অবস্থা সমগ্র তাহিরপুর উপজেলা গত দু’দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। বাজারের জেনারেটরের দোকান থেকে অনেকেই টাকার বিনিময়ে মোবাইল চার্জ করতে দেখা গেছে। উপজেলার ৩০টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে কেউ ওঠেনি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাহিরপুর উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
অপরদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়া হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোতে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা ১০০ মিটার সড়ক ও আনোয়ারপুর-বালিজুরি রাস্তার ৫০ মিটার সড়ক পানির নীচে রয়েছে। এ অবস্থায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানির নীচে তলিয়ে যাওয়া হাটবাজারগুলো হলো-বালিজুরি বাজার, ইসলামপুর চকবাজার, কাউকান্দি বাজার, একতা বাজার, আনন্দ বাজার, নতুন বাজার, সুলেমানপুর বাজার ও শ্রীপুর বাজার।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি জামালগড় গ্রামের সবুজ মিয়া বলেন, বসতবাড়ির চারপাশে বন্যার পানি ও সাপের উপদ্রপ। গত দু’দিন ধরে ঘরে বিদ্যুৎ নেই, এ অবস্থায় পোলাপান নিয়া মহাবিপদে আছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, তাহিরপুরে বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২০ মেট্রিক টন চাল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সীমান্তের যাদুকাটা নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাহিরপুরে দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানাজারের নিকট আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
- পানির সাথে ভেসে আসছে ময়লা আবর্জনা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ
- বিশ্বম্ভরপুরে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ