ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন বিবর্জনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এনামুল হক (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে শফিক (১৮) নামে আরও শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামে অবস্থিত পল্লীবিদ্যুতের সাবস্টেশনের পূর্ব দিকের একটি খুঁটিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের কারলি গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে এবং শফিক একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। দুজনেই লাইন বিবর্জন কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারের শ্রমিক।
জানা যায়, ওইদিন সকালে এনামুল, শফিকসহ আরো কয়েক শ্রমিক সাবস্টেশন থেকে লাইন বিবর্জনের কাজ শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাবস্টেশনের পূর্বদিকের একটি খুঁটিতে উঠে কাজের প্রয়োজন পড়ে তাদের। ফলে সংশ্লিষ্ট লাইনে শাটডাউনের (বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ) জন্য শাটডাউনের জন্য ঠিকাদারের নিযুক্ত প্রতিনিধি আশরাফুল সাবস্টেশনে যায়। কিন্তু সেখান থেকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার আগেই এনামুল খুঁটির চূড়ায় উঠে যায় এবং সাথে সাথে বিদ্যুতায়িত শরীর পুড়ে ধোঁয় উড়তে থাকে। উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সংশ্লিষ্ট লাইনে শাটডাউন দেওয়া হয়। এ সময় তাকে উদ্ধারের জন্য শফিক খুঁটিতে উঠে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনামুলকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং শফিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পল্লী বিদ্যুতের ধর্মপাশা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম হাফিজুর রহমান বলেন, এ কাজের জন্য সাবস্টেশন থেকে শাটডাউনের অনুমতি চাওয়া হয়। আমি অনুমতি দেওয়ার কিছুক্ষণ একজন মারা গেছে বলে আমাকে জানানো হয়। জানতে পারলাম শাটডাউনের ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার আগেই খুঁটিতে উঠায় এ ঘটনা ঘটেছে। ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার আগে খুঁটিতে উঠার জন্য অন্য শ্রমিকেরা মানা করেছিল। কিন্তু ওই শ্রমিক কারও কথা শুনেনি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন থানায় অপমৃত্য মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
- নবীনগর সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি
- তিলের চাষ বাড়ছে জামালগঞ্জে/ প্রত্যাশার চেয়ে বেশী ফলনে খুশী কৃষক