নজরখালি বাঁধ নির্মাণের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ, উপমন্ত্রীর আশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার, তাহিরপুর
পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে টাঙ্গুয়ার পাড়ের ৮২ গ্রামের কৃষকরা। বুধবার বিকালে উপমন্ত্রী তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাড়ে বিকাল ৫টায় টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধে পরিদর্শনে গেলে কৃষকরা বাঁধ নির্মাণের জন্য নজরখালি বাঁধ এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
এ সময় কৃষকরা বলেন, টাঙ্গুয়ার পাড়ের ৪টি ইউনিয়নের ৮২টি গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মাণ করা হলেও এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পরিদর্শনের সময় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের সাথে ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ড অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএম শহিদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, সহ সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুছ ছালাম, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন, শ্রীপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ,সাবেক চেয়ারম্যান বিশ^জিত সরকার প্রমুখ।
এ সময় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, হাওরের কৃষকদের ফসল রক্ষার স্বার্থে সরকার সবকিছুই করবে। সরকার কৃষকদের মুখে হাসি দেখতে চায়। কৃষকরা যাতে শতভাগ জমি চাষাবাদ করতে পারে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে সরকার। সেটা মাথায় রেখে আমরা কাজ করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনার কারণে কৃষকদের ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নতুন করে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ে ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিবো যাতে করে আপনারা এ হাওরের শতভাগ ফসল ঘরে তুলতে পারেন। উপমন্ত্রীর এমন আশ^াসে কৃষকরা শান্ত হন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। মন্ত্রী মহোদয় আপনাদের দুঃখ দুর্দশা দেখেছেন। নজরখালি বাঁধটি নির্মাণ না হলে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের ৮২ টি গ্রামের ৯ হাজার হেক্টর কৃষকের ফসলহানি হবে। আমি আশা রাখি মন্ত্রী মহোদয় নতুন পরিকল্পনা করে হাওরপাড়ের কৃষকদের ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।