নদী মাটি আবারও পড়ছে নদীতে

স্টাফ রিপোর্টার
তাহিরপুরের বৌলাই নদীর প্রায় ৪০০ মিটার খননের মাটি আবারও নদীতে গিয়ে পড়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে এমনটি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এক্সকেভেটর দিয়ে নদী খননের মাটি পাড়ে রাখায় আবারও সেই মাটি নদীতে গিয়ে পড়েছে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বৌলাই নদী খননের জন্য কয়েক বছর ধরে নদীতে ড্রেজার মেশিন দেখা গেলেও বেশির ভাগ সময়েই কাজ বন্ধ থাকে। নদীর যে অংশ খনন হয় সেই অংশের মাটি আবারও নদীতে পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এআরকে নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন সংলগ্ন বৌলাই নদীর ৬ হাজার ৭০০ মিটার খননের কাজ পায়। ওই খনন কাজে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুনে খনন কাজ কর্তৃপক্ষকে সমঝে দেবার কথা। তবে এখনও ১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ বাকি রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তাহিরপুর থানা ঘাট থেকে ভাটি তাহিরপুর পর্যন্ত এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে নদী পাড়েই রাখা হয়েছে। নদীতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি আসায় পাড়ের মাটি আবারও নদীতে গিয়ে পড়েছে। এতে আবারও নদীর এই অংশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খনন করতে হবে।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মুখলেস মিয়া জানান, এক্সকেভেটর মেশিনে মাটি খনন করে নদীর মাটি নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে। এই মাটি আবার নদীতেই পড়েছে। এইভাবে খনন করে সরকারি টাকা নষ্ট করার চেয়ে না করাই ভালো।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তুজাম্মিল হক নাছরুম বলেন, নদী খননের মাটি নদীর পাড়ে রাখার কারণে পাহাড়ি ঢলের ফলে সেই মাটি আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে আমাদের কোনো উপকার হয় নি, বরং চলাচলে ক্ষতি হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের সদস্য শরবুলা বেগম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড যেভাবে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে নদীর মাটি নদীর পাড়ে ফেলে রাখার কারণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেই মাটি আবার নদীতেই গিয়ে পড়ছে। এ ধরনের নদী খনন না করাই ভালো ছিলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুর উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানি আসার কারণে কাজে অসুবিধা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের জুনে কাজ সমজে দেবার কথা। এখনও এক কিলোমিটার খননের কাজ বাকি রয়েছে।
তিনি বলেন, নদীর কিছু অংশে আবারও মাটি পড়ে ভরাট হয়েছে। তবে সেটা আবারও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খনন করে দিতে হবে।