প্রকাশ্যে জুয়ার মেলা প্রশ্নবিদ্ধ করছে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে

সোহানুর রহমান সোহান
গরুর লাড়াই, ঘোড়দৌড়, কাবাডি, কুস্তি সহ বিভিন্ন খেলা গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম একটি অংশ। এসব আনন্দ আয়োজনের মধ্যে উৎসব বিরাজ করে গ্রামে গ্রামে। এরমধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহ্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। হাজার হাজার গ্রামীণ মানুষের বিনোদনের খোরাক এই আয়োজন। প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রতিযোগিতা চলে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জলালপুর-লালপুর গ্রামের মাঠে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই অংশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পাশেই বসানো হয়েছে বিশাল জুয়ার আসর। প্রকাশ্যে দিনে দুপুরেই চলছে জুয়া খেলা। ত্রিপাল দিয়ে অন্তত ৭০-৮০ টি অস্থায়ী তাবু বানিয়ে চলছে এই খেলা। ঘোড়দৌড় দেখতে আসা শত শত শিশু সহ সবাই সংস্কৃতির সাথে পরিচিত না হয়ে অপসংস্কৃতির উৎসব দেখছে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও ত্রিপাল দিয়ে বানানো হচ্ছে অস্থায়ী তাবু। একেকটি তাবুতে একটি দুটি আসর বসানোর মতো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনো কোনোটিতে বিকাল থেকেই শুরু হয়েছে জুয়া খেলা। ছোট বড় সবাই ঘুরে ঘুরে এই জুয়া খেলা দেখছেন।
স্থানীয়রা জানান, দিনে ঘোড়দৌড় শেষ হলে রাতে জমে উঠে জোয়ার আসর। জোয়ার আসরে খেলতে শহর থেকে ব্যাগ ভরে ভরে টাকা নিয়ে আসেন জুয়ারিরা। তিন দিন ব্যাপি চলবে এই জুয়া খেলা।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন বললেন, জুয়া খেলা চলতে পারে না। আমি ফোর্স পাঠিয়ে দিচ্ছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রিপন কুমার মোদক বলেন, জুয়াখেলা বন্ধ করতে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। জুয়ার আসর ভেঙে ফেলা হবে।