স্টাফ রিপোর্টার
‘বাংলা ইশারা ভাষা প্রচলন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজ কার্যালয়ের উপ পরিচালক সুচিত্রা রায়।
প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. তানজিল হক’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, মিজানুল হক সরকার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হায়দার চৌধুরী লিটন, প্রবেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুর আলম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নেতৃবৃন্দ এবং বাক ও শ্রবণ শ্রতিবন্ধীরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝায়। কম করে হলেও দেশে ইশারা ভাষা ব্যবহার শুরু হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের সাতটি বিভাগে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই স্কুলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা পড়াশুনা করতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত নার্সিং ও শরীর চর্চার মাধ্যমে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে এনে উন্নয়নে শরিক করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন উপজেলার ৯ জন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হিয়ারিং যন্ত্র বিতরণ করা হয়।
- এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
- সেই বাঁধে এখনও পড়েনি মাটি