বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গিকার

স্টাফ রিপোর্টার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন প্রমুখ।
সকাল ১০টায় সরকারি শিশু পরিবারে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, মেধাবৃত্তির চেক বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। এসময় সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহন মিনজি, সুনামগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায় উপস্থিত ছিলেন। পরে কেক কাটা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে মুজিব কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রজত কান্তি সোম প্রমুখ। এছাড়াও দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তি চত্বরে কেককাটা, কলেজ ক্যাম্পাসে দেয়ালিকা উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল।
দুপুর ১২টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপুর নেতৃত্বে রমিজ বিপণীস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি লিখন আহমেদের উদ্যোগে সরকারি শিশু পরিবারে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হয়।
বিকালে সুনামগঞ্জ পৌর চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রজত কান্তি সোম প্রমুখ। শিশুদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় আওয়ামী, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সরকারি শিশু পরিবারে কেক কাটা ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণের উদ্যোগে তার বাসভবনে কেককাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোন শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোন মানুষই ভূমিহীণ-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না, প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
অপরদিকে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহকারী কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ইমনের সভায় পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রজত কান্তি সোম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজাদ, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মো. জাকির হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল আবেদীন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলে বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করছে। বাঙালি জাতির মহাপুরুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে পুরো বাঙালি জাতি অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।