সু.খবর ডেস্মুক
মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় সাঙ্গ হলো বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী। একই সাথে শিক্ষার্থীদের কোলাহলও বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীকে প্রাণবন্ত করে তুলে। গতকাল সোমবার প্রদর্শনী দেখতে নগরীর শাহজালাল কলেজ, সীমান্তিক কলেজ, মইমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিন্দাবাজার সরকারী কিন্ডার গার্ডেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রদর্শনী দেখতে আসেন।
নগরীর মাছিমপুরস্থ আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীতে প্রায় ৫’শ টি ছবি, ৩০টি ডিজিটাল, স্কীন ও অডিও ছবি লোড করা আছে।
ভলন্টিয়ার ও ভারতে স্কলারশীপ পাওয়া শিক্ষার্থী পূর্বা বৈদ্য জানান, প্রদর্শনীর প্রথম দিন থেকে লোক সমাগম ভালই ছিল। গতকাল শেষ দিনে বেশকটি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এসেছিলেন। তিনি আরো জানান, এ প্রদর্শনীতে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে, যেমন মানুষ জনের সাথে মিশে তাদের সাথে কথা বলতে পারার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা প্রদর্শনী দেখে ৫০ বছর আগের কথা মনে করলেন।
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকান্ত সিংহ জানান, প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মনে করেছেন। প্রদর্শনী দেখে তিনি মুক্তিযুদ্ধের গল্প করছিলেন।
শাহজালাল কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান, স্নেহা সিনহা ও ফারহানা আহমেদ ইমা জানান, প্রদর্শনীতে এসে অনেক কিছু জেনেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের মহাত্মা গান্ধী (বাপু) সম্পর্কে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হত্যা, ধর্ষণ ও অপরেশন সার্চলাইটের শব্দের অডিও শুনেছি। এছাড়াও এই ভিডিও প্রদর্শনী দেখে অনেক কিছু জেনেছি। সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল গত ৮ নভেম্বর থেকে গতকাল ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন।
সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল জানান, সিলেটের প্রদর্শনী শেষ করে প্রথমে রাজশাহী ও পরে খুলনাতে যাবে। আর ডিসেম্বরে ঢাকাতে, ঢাকার পরে কলকাতা এবং সর্বশেষ আমেরিকার নিউয়র্কে এ প্রদর্শনী প্রদর্শিত হবে। শেষে তিনি সিলেটের চিত্র প্রদর্শনী সুন্দর ও সফল ভাবে শেষ হওয়ায় সিলেট বাসীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও সিলেট জেলা প্রশাসন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিড় লেগে ছিল।
মহাত্মা গান্ধী ডিজিটাল জাদুঘরের কিউরেটর শ্রী বিরাট রাজারাম ইয়াগনিক দ্বারা বিশেষভাবে পরিচালিত এই অনন্য ডিজিটাল প্রদর্শনী গত ৮ নভেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি উদ্বোধন করেন। গত ১৪ নভেম্বর প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
প্রদর্শনীতে উপমহাদেশের দুই বরেণ্য নেতা স্বাধীন বংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর (বাপু) জীবনী নির্ভর প্রায় ৫’শ ভ্রাম্যমাণ তথ্যচিত্রসহ দুই নেতার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সময়ের বর্ণনা সংবলিত ডিজিটাল উপস্থাপনা রয়েছে।
সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল জানান, সিলেটের প্রদর্শনী শেষ করে প্রথমে রাজশাহী ও পরে খুলনাতে যাবে। আর ডিসেম্বরে ঢাকাতে, ঢাকার পরে কলকাতা এবং সর্বশেষ আমেরিকার নিউইয়র্কে এ প্রদর্শনী প্রদর্শিত হবে। শেষে তিনি সিলেটের চিত্র প্রদর্শনী সুন্দর ও সফলভাবে শেষ হওয়ায় সিলেটবাসীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
সূত্র : সিলেটের ডাক
- দোয়ারায় ৪ টি টিলা কেটে ধ্বংস করার অপরাধে তিনজনকে অর্থদণ্ড
- নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে