দিরাই সংবাদদাতা
দিরাই পৌরসভার দোওজ গ্রামের শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দিরের পিছনে প্রতিদিন বসছে জুয়া খেলার আসর। এক সময়ে যে লুডু বোর্ড ছিল কাগজের তৈরি এখন তা মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়। আর এই অ্যাপকে ব্যবহার করে একদল যুবক মেতে উঠেছে ডিজিটাল জুয়ায়।
শুক্রবার শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দিরের পিছনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ময়লা-আবর্জনায় বসে একদল জুয়াড়ি মোবাইলে লুডু খেলা (ডিজিটাল) জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। চারিদিকে আবর্জনা ছড়ানো, ছিটানো, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১৫ থেকে ২০ জন খন্ড খন্ড হয়ে বসে জুয়া খেলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুয়া খেলায় জড়িত অধিকাংশ যুবক দিনমজুর, মোটরসাইকেল চালক ও ছোটখাট ব্যবসায় জড়িত। তাদের উপার্জিত টাকা দিয়ে মেতে উঠে মোবাইল গেম জুয়া খেলায়। অজ্ঞাত নামা ঐ যুবকরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এই জুয়ার আসর।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত এই স্থানে যুবকরা মোবাইলে জুয়া খেলায় মেতে উঠে। আমরা অনেকবার তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। হতদরিদ্র এই যুবকরা সর্বস্ব খোয়ানো খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।
সেবক রায় বলেন, পাশের বাসাটি আমাদের, এখানে প্রকাশ্যেই আবর্জনাতে বসে প্রতিদিন খেলা হচ্ছে জুয়া। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার জুয়া খেলা হয়। আমরা ভয়ে এই জুয়াড়িদের কিছু বলতে পারি না। অনেক সময় জুয়া খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ সৃষ্টি হয়, তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। পাড়ার ছোটছোট ছেলে,মেয়ে ও শিক্ষার্থীদের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। জুয়া খেলা বন্ধে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, মোবাইল জুয়ারিদের শনাক্ত করা কঠিন তাই আগে তাদের শনাক্ত করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানান তিনি। সেই সাথে অভিযান চালাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। জুয়া খেলা বন্ধে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তারও আহবান জানান তিনি।
- পাগনার হাওরের খাল খনন কাজ/ যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়
- মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব