বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু পাথর মহাল ইজারা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার তাহিরপুরের বালিজুরি গ্রামের ফেরদৌস আলম জেলা প্রশাসকের নিকট ইজারা কার্যক্রম স্থগিতাদেশের জন্য অ্যাডভোকেট সনদ দাখিল করেছেন।
অ্যাডভোকেট সনদ দাখিলের আবেদনে ফেরদৌস আলম উল্লেখ করেছেন, যাদুকাটা নদীর বালিমিশ্রিত পাথর মহালকে ২০১০-১১ সালের মাটি বালু আইনে সৃজিত বালু মহাল হিসেবে ইজারা প্রদান বাতিলকরণ চেয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন (নম্বর ২১৭০/২০২৩) দায়ের হয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত সোমবার যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালু মহালের ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা কার্যক্রম আদেশ প্রদানের তারিখ হতে আগামী দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করেন।
আবেদনে ফেরদৌস আলম আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
মামলার বাদী ফেরদৌস আলম বললেন, আমি মনে করি এটি বালি মিশ্রিত পাথর মহাল। সেই হিসাবে ইজারা দিলে সরকার এই মহাল থেকে শত কোটি টাকার উপরে রাজস্ব পাবে। বালি মহাল হিসেবে ইজারা দেওয়ায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদও লুটাপাট হবে। এই অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য আমি আদালতের নজরে বিষয়টি এনেছি।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার একজন কর্মকর্তা বললেন, সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায়ের এই ক্ষেত্র একসময় মামলায় জড়িত রেখে লুটেপুটে খেয়েছে একটি চক্র। গেল এক বছর এই মহাল থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করে ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকা পেয়েছে। গেল সপ্তাহে এটি ইজারা গিয়েছিল ৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। মামলা দীর্ঘায়িত হলে লুটেরা চক্র এবারও সুযোগ নিতে পারে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বললেন, তাড়াতাড়ি বিষয়টি আইনীভাবে নিস্পত্তি না হলে সরকার বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হবে। আমাদের প্রত্যাশা জেলা প্রশাসক দ্রুতই আইনী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা দেবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ বললেন, যাদুকাটা নিয়ে আদালতে রিট হয়েছে এরকম একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট আইনজীবী দিয়েছেন। আদালতের কোন আদেশ এখনো পাওয়া যায় নি। আদেশ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- শাল্লাবাসীর যোগাযোগ দুর্গমতার অবসান ঘটুক
- অবশেষে বাড়িতে এলো গ্রিস প্রবাসীর মরদেহ