স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জে যুদ্ধ জয়ের গল্প শুনলেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে যুদ্ধ জয়ের গল্প ও মুক্তিযোদ্ধা পুনর্মিলনীর আয়োজনে বীরত্বগাঁথা কথা শুনালেন সেলা সাব সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অনন্য এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কয়েকশ মুক্তিযোদ্ধাও।
শহরের হাছনরাজা মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকেই যুদ্ধজয়ের গল্প শুনতে আসেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নানা স্মৃতিচারণ করেন সেলা সাব সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্ণেল অব. এএস হেলাল উদ্দিন, লে. কর্ণেল অব. আব্দুর রউফ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ ড. রানা চৌধুরী। যুদ্ধজয়ের গল্প শুনতে আসা শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝেই নানা প্রশ্ন করে এই অঞ্চলের যুদ্ধকাহিনী জানতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে।
শিক্ষার্থীরা দোয়ারাবাজারের নৈনগাঁও যুদ্ধ, ছাতকের রেল সেতু বিচ্ছিন্নকরণ কিভাবে করা হয়েছিলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ জয়ের গল্প শুনতে প্রশ্ন করলে উত্তোর দেন যুদ্ধারা।
ক্যাপ্টেন হেলাল শিক্ষা ট্রাস্টের সভাপতি, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হেলাল শিক্ষা ট্রাস্ট’এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী’র সহধর্মিনী কবি মুনমুন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল মোমেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের একটি করে জাতীয় পতাকা ও লে. কর্ণেল আবদুর রউফ বীর বিবক্রমের লেখা ‘স্বাধীনতা’৭১ মুক্তিযুদ্ধে জনযোদ্ধা’ বই তুলে দেওয়া হয়।
মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় ট্রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত বজলুল মজিদ চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত উজির মিয়াকে। পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্মননা গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলিত চাকুরি ছেড়ে দেশের জন্য ছুটে এসেছিলেন যে যোদ্ধারা, তাদের কাছে বাঙালি চিরঋণী। এই ঋণ শোধ হবার নয়। আমি জেলা প্রশাসক, আমরা স্বাধীন জাতি তাঁদেরই জন্য। তিনি জেলার দায়িত্ব পালনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিক নির্দেশনা প্রদানেরও অনুরোধ জানান।
- আগ্রহ নেই চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিনে
- সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকী পালন/ হাস্যরসে বলার অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর