লোককবিদের ব্রান্ডিং করেই বিশ্বের বুকে স্থান করে নিতে পারে সুনামগঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার
মরমী কবি হাছন রাজার মৃত্যু শতবার্ষিকী ও ১৬৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
হাছন রাজা ট্রাস্টের সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, মরহুমের পৌত্র দেওয়ান ইস্কন্দর রাজা চৌধুরী, কবি নাসরিন আবেদীন, প্রপৌত্র সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান ও সংগীত শিল্পী সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র, স্থানীয় রাজনীতিকদের হাছন রাজা কে নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। হাছনরাজার ভাবদর্শন, চিন্তাধারা, সৃষ্টিকর্মকে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে না পারলে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য সফল হবে না। সুনামগঞ্জে অনেক বড় বড় বাউল ও লোক কবি জন্মগ্রহণ করেছেন। সুনামগঞ্জে ব্রান্ডিং করার মতো অনেক মরমিয়া সাধক আছেন। লোক কবিদের ব্রান্ডিং করেই সুনামগঞ্জ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বুকে স্থান করে নিতে পারে।
এরপর গান, চিত্রাংকন ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় একক ৩৫ জন, ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩টি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিরা। এছাড়াও অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে ছিল দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক এর সংগীত পরিবেশনা উপভোগ করেন হাজারো দর্শক। এছাড়াও গান ও নৃত্য পরিবেনায় মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিল্পীরা।
মরমী কবি দেওয়ান হাছন রাজার জন্ম ২১ ডিসেম্বর ১৮৫৪ সালে ও মৃত্যু ৬ ডিসেম্বর ১৯২২ সালে।