শান্তিগঞ্জ অফিস
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা বাজারে বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ৪টি নিরীহ পরিবারের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ৪ সহোদরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে আহত পরিমল চন্দ্র দাস বাদি হয়ে টাইলা গ্রামের ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬, তারিখ ১৪/০২/২০২৩ ইং।
মামলায় টাইলা গ্রামের মৃত বিনদ বিহারী দাসের ছেলে ঝুনু দাস (৬০), তার সহোদর বিকেশ চন্দ্র দাস (৫৮), মৃত মাখন দাসের ছেলে সুষেন দাস (৫৫), মৃত জ্ঞান রঞ্জন দাসের ছেলে অসিত চন্দ্র দাস (৪২), মৃত নুনু দাসের ছেলে ভানু দাস (৪৫) ও প্রাণ কৃষ্ণ দাস (৩০), বিক্রয় দাসের ছেলে দীপক দাস (৩০) ও বিউটন দাস (৩২), মৃত বিধু রঞ্জন দাসের ছেলে বিক্রয় দাস (৬০), ঝুনু দাসের তিন ছেলে হরি দাস (২৮), নিতাই দাস (২৬), গৌর নিতাই দাস (২৪), সুষেন দাসের দুই ছেলে সুবল দাস (২৮), সুবোধ দাস (২৫), ভানু দাসের ছেলে স্বপন দাস (২০) বিকেশ দাসের ছেলে বিবেক দাস (২২), মৃত মানিক দাসের ছেলে মিন্টু দাস (২৮) সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকালে বাদির বড়ভাই গুরুতর আহত সুধারঞ্জন দাসের ছেলে পার্শ্ববর্তী টানাখালি বাজার থেকে একটি কুকুরের বাচ্চা নিয়ে আসেন। এসময় হামলাকারী আসামী ঝুনু দাস ও সুষেন দাসের ছেলেরা কুকুরের বাচ্চাটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাচ্চাদের মধ্যে মারামারি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত আনুমানিক ৯টায় মামলার প্রধান আসামী ঝুনু দাস, বিকেশ দাস, সুষেন দাস ও অসিত দাসের নেতৃত্বে ১৮/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, দা, ডেগার ও লাঠিসোটা নিয়ে টাইলা বাজার সংলগ্ন নিরীহ সুধারঞ্জন দাস ও তার তিন সহোদরের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এসময় হামলাকারীরা ৪ সহোদর সুধারঞ্জন দাস, সুজিত দাস, পরিমল চন্দ্র দাস ও সনজিৎ দাসকে মাথা পিঠসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীরা আহত অটো মিল ব্যবসায়ী সুধারঞ্জন দাসের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার ও ছানা দুধের ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র দাসের পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা সহ মোট একলাখ ১০ হাজার টাকাসহ আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত লোকজন আহতদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। আহত সবার মাথা ও পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এরমধ্যে সুধারঞ্জন দাস কে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে তৎপর রয়েছে।
- শান্তিগঞ্জের খাই হাওরের বাঁধ কেটে ব্রীজ নির্মাণ!
- জগন্নাথপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো ৫ কোটি টাকার মালামাল