শো-ডাউন করে মনোনয়নের দাবি জানালেন মতিউর সমর্থকরা

স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেন্দ্রীক প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের নির্বাচনী এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমানের সমর্থকরা শনিবার বিকালে শো-ডাউন করে এই আসনে মতিউর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেবার দাবি জানিয়েছেন। দিরাই থানা পয়েন্টে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখার সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান দিরাইয়ের কৃতি সন্তান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। দিরাই-শাল্লার কর্মীরা তাঁকে এই আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। আমিও তাঁকে এই আসনে এমপি দেখতে চাই। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয়ী করবো।
মুকুট বলেন, আব্দুস সামাদ আজাদের হাত ধরে আমি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলাম। বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও আমাদের নেতা ছিলেন। কিন্তু তিনি কোন আওয়ামীলীগ নেতাকে মায়নাস করে বিএনপি নেতাকে এই দিরাইয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন নি। আজকে যারা দিরাইয়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিষ্ঠা করছে, তাদেরকে ধিক্কার জানালেন তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার নামোল্লেখ করে মুকুট বলেন, আপনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আগামীতে অত্যন্ত কঠিন দিন আসছে। এসময় বিভক্তি তৈরি করা যাবে না। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে।


উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা রুবেল সরদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সৈয়দ আবুল কাসেম ও অ্যাড. অবনী মোহন দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন, সদস্য অমল কর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাস, দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অ্যাড. সোহেল আহমদ, সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান বলেন, পরিবর্তন চায় দিরাইবাসী। দিরাই- শাল্লার মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা দিলে আর আপনারা পাশে থাকলে উপজেলার উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, দিরাই আমার জন্মভূমি। দিরাই থেকে আমি রাজনীতি শুরু করেছি। ১৯৬০ সালে ছাত্রলীগ থেকে আমি রাজনীতি করছি। ৬৩ বছর ধরে মুজিব আদর্শকে ধারণ কওে আছি। দিরাই আমার নিজ এলাকা। আমি যখন এমপি ছিলাম তখন আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। যেখানে রাস্তা ছিল না, সেখানে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করছি। দিরাই শাল্লার মানুষ পাশে থাকলে এই এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করবো।
প্রসঙ্গত. এই আসনে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সে গুপ্তের স্ত্রী ড. জয়া সেন গুপ্তা আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য। সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জয়া সেন গুপ্তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত কেউই ছিলেন না।