সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা ছিল দুইপক্ষেরই

স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জে কাছাকাছি স্থানে বড় শোডাউন করলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। কর্মসূচীতে জমায়েত বাড়ানোর চেষ্টা থাকলেও সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা ছিল দুইপক্ষেরই। বিএনপির জমায়েতের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের খন্ড খন্ড মিছিল গেছে, আবার আওয়ামী লীগের জমায়েতের পাশ দিয়ে এসেছে বিএনপির খন্ড মিছিল।
দুই পক্ষের কর্মসূচী চলাকালে পুরাতন বাসস্টেশন থেকে চাঁদনীঘাট এবং স্টেশন রোডের সদর থানার সামনে অংশ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বেলা সাড়ে ১০ টা থেকেই পুরাতন বাসস্টেশনে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীর গণজমায়েতে খন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে। সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে জেলা সদরে পদযাত্রার এই কর্মসূচীতে যোগ দিতে সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলির বেশির ভাগ এলাকা থেকে খ- খন্ড মিছিল নিয়ে আসেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। বিভিন্ন উপজেলা থেকেও মিছিল এসেছে বিএনপির।
ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশেও যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের সমাবেশের আয়োজন ছিল শহরের কেন্দ্রস্থল আলফাত স্কয়ারে। এখানকার সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মিছিল ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন। দিরাই, ছাতক, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা থেকে মিছিল এসে যোগ দেয় সমাবেশে।
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট। দলীয় নেতা জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু ও সবুজ কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নোমান বখ্ত পলিন, সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখ্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম ও অবনী মোহন দাস, দলীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজাদ, সৈয়দ আবুল কাশেম, অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, অ্যাড. আব্দুল করিম, অ্যাড. চান মিয়া, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও খায়রুল হুদা চপল, অ্যাড. সোহেল আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দে প্রমুখ।


বিএনপি পুরাতন বাসস্টেশন থেকে বিশাল জমায়েত নিয়ে কালীবাড়ী হয়ে কাজীর পয়েন্টে পদযাত্রা করে যেতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন বখ্ত চত্বরে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে। পরে ওখানেই দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপির পদযাত্রায় সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, দলীয় নেতা আব্দুল লতিফ জেপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, নাদীর আহমদ, অ্যাড. সোহেল আহমদ, রেজাউল হক, সেলিম উদ্দিন আহমদ, আবুল মুনসুর শওকত, অ্যাড. শেরেনুর আলী, আতম মিসবাহ্, আনিসুল হক, কামরুজ্জামান কামরুল, মোনাজ্জির সুজন, আনছার উদ্দিন, এটিএম হেলাল, শামছুল হক নমু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।