এক মাসে দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা
স্টাফ রিপোর্টার
উৎপাদন ঠিকমতো থাকায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে শীতকালীন সবজির দাম। তবে ঝাঁঝ বেড়েছে কাঁচা মরিচে। একমাস আগে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। দাম বৃদ্ধিও কারণ হিসেবে কম আবাদ, সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনও কম এবং বাইরের জেলা থেকে মরিচ আসছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
জানা যায়, বর্তমানে পৌর শহরের প্রায় সবগুলো বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়াও প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই সবজি বাজারে কেনা বেচা শুরু হয়। শীতকালীন সবজির যথেষ্ট সরবরাহ থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে একমাসের ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গত মাসে যে কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লম্বাবাক এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী সায়েদ আলী বলেন, এবার শীতকালীন সময়ে অন্যান্য সবজির ব্যাপক চাষ হয়েছে। তাই বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কৃষকরা কাঁচা মরিচ এবছর কম আবাদ করেছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনও কম। এছাড়াও অন্য বছরের মতো এবার বাইরের জেলা থেকে মরিচ আসতেছে না, এজন্য কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ব্যবসায়ী গোলাপ মিয়া বলেন, শীতকালীন সবজির দাম কম আছে। তবে খুব দ্রুতই বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কারণ কৃষকদের কাঁচা মরিচের ক্ষেত বান-তুফানে, শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে চাহিদা মতো মরিচ পাওয়া যায় না। এইজন্য দাম বেশি।
শহরের বড়পাড়া এলাকার কবির মিয়া বলেন, সবজির বাজারে এসে টমেটো, ফুলকপি কিনেছি। দাম সাধ্যের মধ্যে আছে। তবে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। দামটা বেশি। আমি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় কিনেছি।
শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা ফরমুজ মিয়া বলেন, সবজির বাজারে এসে টমেটো, আলু, ফুলকপি, শিম কিনেছি। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেশি। আমি সব সবজির সাথে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি।
জামালগঞ্জ উপজেলার মান্নানঘাট এলাকার কৃষক রোপন মিয়া বলেন, এই বছর মরিচ করেছি আধ কেয়ার (৩০ শতাংশে এক কেয়ার) জমিতে। দামটা বেশি পেয়েছি। কিন্তু জমিতে মরিচ কম ধরেছে। মেঘ বৃষ্টি অইছে না। যার করণে ফলনও কম।
জেল রোড এলাকার আড়ৎদার আজিজুন ট্রেডার্স এর মালিক মাসুক মিয়া বলেন, বাইরে থেকে কাঁচা মরিচ আসে না। জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। প্রতি মণ মরিচ ৩ হাজার ৫০০টাকা থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা ১০০ টাকা, ১২০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করতে হয়।
- স্বল্পোন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চায় : প্রধানমন্ত্রী
- প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে পারছে না সুনামগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থী