সিপিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা/লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয়

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে আলোচনাসভা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা সিপিবি। মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সিপিবি’র সভাপতি সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমদ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা সিপিবি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল সুমন, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবু তাহের মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, আলোচনাসভার শুরুতেই গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন সুনামগঞ্জ উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন।
সুনামগঞ্জ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ মনি’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তারা বলেন, শতাব্দীর বিশের দশকে ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী হাজার হাজার কমিউনিস্টকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। কমিউনিস্ট কর্মীদের ওপর চালানো হয় হত্যা ও নির্যাতন। জেল—জুলুম—হুলিয়ার খড়গ নেমে আসে তাদের ওপর।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহীতে পুলিশ গুলি চালালে সাতজন কমিউনিস্ট নেতা প্রাণ হারান। পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্টরা তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। সংগঠিত হয় তেভাগা, নানকার, টংকসহ নানা কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
ঐতিহ্যবাহী গণসংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠার পেছনে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকাই মুখ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের নানা নিপীড়ন সহ্য করে পার্টি তার ভূমিকা পালন করে এগোচ্ছে। ২০০১ সালে ঢাকার পল্টন ময়দানে সিপিবির লাখো মানুষের সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, সা¤প্রদায়িকতা ও সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াই, জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত—শিবির নিষিদ্ধের আন্দোলনসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে সিপিবি অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকেন্দ্রিক দ্বি—দলীয় মেরুকরণের বাইরে বাম—গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলার কঠিন ও জটিল পথ পরিক্রমায় নানামুখী তৎপরতায় সিপিবি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সামনের এই লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।