সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা

জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা আলম উপ নির্বাচনে শতভাগ সুষ্ঠু হবে কী-না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি ফিফটি ফিফটি আশাবাদী।
সোমবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রিসাইটিং কর্মকর্তারা ১০ ভাগ ভোট দিতে পারে, এই ভোট নির্বাচনে জয় পরাজয়ের প্রতিবন্ধক। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কারচুপির মাধ্যমে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার যাতে জয় ছিনিয়ে নিতে না পারে সে জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরক্ষা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমার দল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি আদর্শিক কারণে জমিয়ত ছেড়েছি। আমি মূলত জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কর্মী। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের নেতাকর্মীরা ভোটে না গেলেও সমর্থকদের সহযোগিতা পেতে পারি।
তিনি জানান, সরকার দলীয় পাতি নেতাদের কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঝে মধ্যে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হলেও, সব মোকাবিলা করে আমি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় আছেন বলে তিনি দাবি করেন ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। ইভিএমএ ভোটাররা নিজ নিজ আঙুলের ছাপে ভোট দিয়ে থাকেন। এমন অভিযোগ ভিত্ত্বিহীন।
প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী তালহা আলম। ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মৃত্যুবরণ করলে চেয়ারম্যান পদে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে ৫ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে তালহা আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাপ পিরিচ প্রতীকে আর আব্দুল কাইয়ুম কামালী জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোটযুদ্ধে আছেন। অপর দুই জন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান লাঙ্গল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রাশীদ আনারস প্রতীকে লড়ছেন।