স্টাফ রিপোর্টার
জেলা প্রশাসক কল্যাণ ট্রাস্ট’র যাত্রা শুরু হয়েছে। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ৩১ অদম্য মেধাবীকে ও ১৯ জন দুঃস্থ ও অসহায় দূরারোগ্য ব্যধিগ্রস্তকে ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেবার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকালে এই ট্রাস্ট্রের শুভারম্ভ হয়।
সহায়তা গ্রহণের সময় সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শহরের বড়পাড়ার অদম্য মেধাবী স্বর্ণালী আক্তার রীমা তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বললো, এই সহায়তা আমার স্বপ্নযাত্রার বড় সহায়ক হবে। অর্থকষ্টের মধ্যেও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাবার পর আমার বাবা-মা বড় বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন। কীভাবে বই কেনা হবে, কলেজের ভর্তির টাকাই বা আসবে কোথা থেকে। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এই সহায়তা আমার বাবা মা’র সাহস বাড়িয়ে দেবে।
সহায়তা গ্রহণকারী সদর উপজেলার মোহনপুরের রফিক আলী বললেন, অসুস্থ্যতায় আর দরিদ্রতায় একেবারে কাবু। এখানে সহায়তা নিতে আসার শারিরিক শক্তি এবং আর্থিক ক্ষমতাও আমার ছিল না। এই সহায়তা আমার বড় বেশি কাজে লাগবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার এহসান শাহ্, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, সাংবাদিক আইনুল ইসলাম বাবলু, পঙ্কজ দে, লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উদ্বোধন ঘোষণা করে বললেন, এই দিন সুনামগঞ্জবাসীর জন্য আনন্দের, গর্বের ও মনে রাখার মত দিন। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে গর্ববোধ করছি। জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন তাঁর কল্যাণ তহবিলের ৪০ লাখ টাকা দিয়ে সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটি ভালো প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেলেন।
প্রসঙ্গত. অর্থাভাবে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের মেধাবী কোন শিক্ষার্থীর যেন পড়াশুনা বন্ধ না হয়। কোন অসহায় দরিদ্র মানুষের যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু না ঘটে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কল্যাণ তহবিলের ৪০ লাখ টাকায় ‘সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কল্যাণ ট্রাস্ট’ নামে শিক্ষা ও সেবামূলক ট্রাস্ট্র গঠন করা হয়েছে।
- বিপজ্জনক নাগরিক সমস্যার নাম- ধুলো ও মশা
- জেলা পরিষদের ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা/ চার বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি