৪টি ভাঙায় মাটি পড়েনি/ অর্থ লুটের পায়তারা

জগন্নাথপুর অফিস
ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজের সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র ১৩ দিন বাকী। মঙ্গলবার পর্যন্ত জগন্নাথপুরে অনেক প্রকল্পে কাজ শুরু হয়নি।
এদিকে জগন্নাথপুরের দ্বিতীয় বৃহৎ মইয়ার হাওর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই হাওরে নলুয়া হাওর পোল্ডার-১ এর আওতাধীন মইয়ার হাওরের স্টিল ব্রিজের নিকটবর্তী এলাকায় ২২ ও ২১ নম্বর প্রকল্প এলাকায় ৪টি ভাঙা গর্তে মাটি পড়েনি।
২১ নম্বর প্রকল্পের একাংশে একটি বড় গর্তে কাজ চলমান রয়েছে। গেল বছর এ প্রকল্পের একাংশ পানির চাপে ধসে পড়লে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করে হাওর রক্ষা করা হয়েছিল। এ বছর বিকল্প বাঁধটি স্থায়ী বাঁধ হিসেবে সংস্কার হচ্ছে। বাঁধের ০.৪২৯ কিলোমিটার এলাকা সংস্কারের জন্য ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের সভাপতি কামাল মিয়া জানালেন, আমার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তিন, চার দিনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হবে। নীতিমালা অনুয়ায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
অপরদিকে ২১ নম্বর প্রকল্পের পাশের ২২ ও ২৩ নম্বর প্রকল্পেও কিছু কিছু স্থানে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। ২২ নম্বরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২১ লাখ ৩৬ হাজার ও ২৩ নম্বরে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ যৎ সামান্য কাজ করে অর্থ লুটের পায়তারা চলছে। হাওর পরিদর্শনকালে পাউবো কিংবা প্রকল্প কমিটির কাউকে দেখা যায়নি।
এছাড়া নলুয়া হাওরের ২৪ নম্বর প্রকল্পের ইকড়ছই জলকপাট সামনের ভাঙা গর্তে গতকাল পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। কাজ শুরু হয়নি ৪১ নম্বর প্রকল্পেও।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপেেজলায় এবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে ৪৭টি প্রকল্পে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্প সংস্কার ও মেরামতের কাজের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হওয়ার কথা। দুইমাসে শতভাগ একটি বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়নি স্থানীয়রা জানান।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাওরে এখনো অনেক প্রকল্পে কাজ শুরু না হওয়াতে আমরা হতাশ হয়েছি। গত দুই মাসের একটি প্রকল্পেও শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। মইয়ার হাওরে নিন্মমানের কাজ করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রত নীতিমালা অনুয়ায়ী কাজ শেষ করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী জানান, নীতিমালা মোতাবেক সঠিকভাবে বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। দুই তিনটি ভাঙা গর্তে কাজ এক দুই দিনের মধ্যে শুরু হবে। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে।