জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুরে নলুয়ার হাওরে ফসল রক্ষায় ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় হাওরটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের দুই দফা সময় শেষ হলেও হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ শালিকার বাঁধ এলাকা অরক্ষিত রেখে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করার তোড়জোড় চলছে।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে ৪৭ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তাঁর মধ্যে বোরো ফসলের জন্য জেলার অন্যতম বৃহৎ হাওর নলুয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় ৩০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় । ওই প্রকল্পের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের মধ্যবর্তী জায়গায় ৮০০ মিটার অংশ অরক্ষিত রাখা হয়। কোন প্রকল্পে এটি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় শুরু থেকে কৃষকরা শঙ্কার কথা জানিয়ে ওই অংশে বাঁধের কাজ করার দাবি জানান।
কৃষক বশর মিয়া জানান, পাউবোর কাছে আমরা বার বার ওই অংশে কাজ করার দাবি জানিয়ে আসছি। তিনি জানান , যে অংশ অরক্ষিত রাখা হয়েছে ওই জায়গা ডুমাইখালির বাঁধ এলাকা নামে পরিচিত।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দিলাওর হোসেন বলেন, হাওরের এক অংশ দিয়ে পানি ঢুকলে পুরো হাওর নিমজ্জিত হয়ে যাবে এভাবে এক অংশ কে অরক্ষিত রেখে বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন অযৌক্তিক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এবার অনেক প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারপরও নলুয়ার হাওরের আটশত মিটার অংশে বাঁধ নির্মাণ সংস্কার না করা দুঃখজনক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ কর্মকর্তা হাসান গাজী বলেন, নলুয়ার হাওরের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের মধ্যবর্তী জায়গার প্রায় ৮০০ মিটার অংশে গত বছরের মাটি থাকায় আমরা ওই অংশ কে ঝুঁকিপূর্ণ মনে না করে কোন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করিনি।কৃষকদের দাবি ও পাউবোর উদ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে ওই অংশ দেখে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
- বজ্রপাত ঝুঁকিকে গুরুত্ব দিতে হবে
- গানে গানে মানুষের জয়গান গেয়েছেন তিনি শাহ আব্দুল করিম