শান্তিগঞ্জ অফিস
অবশেষে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গ্রিস প্রবাসী আফছর মিয়া’র (৪০) মরদেহ স্বজনদের কাছে এসেছে। আফছর মিয়া দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোর রাতে আফছর মিয়ার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারেও চলে শোকের মাতম। সকাল ১০ টায় দামোধরতপী মসিজেদ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে আফছর মিয়া স্ত্রী, এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ চৌধুরী জানান, গ্রীসে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসী আফছর মিয়ার মরদেহ মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে এসে পৌঁছে। সকাল ১০ টায় জানাজা শেশে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আফছর মিয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার অপর ভাই মো. এমরান মিয়াও সেখানে (গ্রিসের এথেন্সে) ছিলেন। মৃত্যুর চারদিন পর লাশ দেশে আনার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এমরান দেশে ফিরেন। গত শুক্রবার লাশবাহী গাড়ি আফছর মিয়ার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। লাশের কফিনে আছয়র মিয়ার নাম ঠিকানা সবই উল্লেখ ছিল। লাশের গাড়ি দেখে গ্রামের মাইকে জানাজার সময়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। খোঁড়া হয় কবর। কিন্তু লাশ ফ্রিজিং ভ্যান থেকে নামানোর পর বাঁধে বিপত্তি। দেখা যায় লাশ আফছর মিয়ার নয়। মরহুম আফছর মিয়ার বাড়িতে যে লাশ এসেছে সেটি জালাল মিয়া (৫২) নামের এক ব্যক্তির। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার শিলনপুর গ্রামে। জালাল মিয়ার বাবা শফিক উদ্দিনও গ্রিস প্রবাসী ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ে জালাল মৃত্যুবরণ করেন। ভুলবশত: আফছর মিয়ার নাম সম্বলিত স্টিকারটি জালাল মিয়ার কফিনে এবং জালাল মিয়ার স্টিকার আফছর মিয়ার কফিনে লাগিয়ে দেওয়ায় একজনের লাশ আরেকজনের ঠিকানায় চলে আসে।
পরে সংশ্লিষ্ট শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক জালাল মিয়ার লাশ তার স্বজনদের ফেরত দেয়।
- যাদুকাটা ইজারায় অনিশ্চয়তা/ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আদালতের আদেশ
- শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১