আদালতে মুচলেকা দিয়েও স্ত্রীকে মারধর/ স্বামী-সতীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
জগন্নাথপুরে স্বামী-সতীনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন আমেনা বেগম নামের এক গৃহবধূ। রবিবার জগন্নাথপুর থানায় আমেনা বেগম স্বামী, সতীন, শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বছর আগে জগন্নাথপুর পৌরসভার ভরতপুর এলাকার মৃত আতাব আলীর ছেলে আনর আলীর (৩৮) সঙ্গে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের কামাল উদ্দিনের মেয়ে আমেনা বেগমের বিবাহ হয়। ওই দম্পতির ১১ বছরের এক বাকপ্রতিবন্দ্বি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আমেনা। প্রায় ৪ বছর আগে প্রথম স্ত্রী আমেনার সম্মতি না নিয়ে আনর আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই আমেনার উপর নির্যাতন বাড়তে শুরু হয়।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আমেনা। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনর আলী মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীকে মারপিট না করার অঙ্গীকার করেন।
এদিকে গতকাল সকালে আমেনা বেগমকে স্বামীর বাড়ির লোকজন মারপিট করে। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আদালতে মামলা করায় আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর সবাই মিলে আমাকে ও আমার প্রতিবন্ধি মেয়ে জুরাইয়া জান্নাত মানতাশা (১১) কে মারধর করেছে। আমার কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁরা। আহতাবস্থায় আমরা মা -মেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছি। বিষয়টি লিখিতভাবে জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে তাঁর স্বামী। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে, কিন্তু সুফল মিলেনি। অবশেষে মাননীয় আদালতের আশ্রয় নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা আমাদের মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।