‘আমি করিম বাবার ছেলেরে দেখতে এসেছি’

স্টাফ রিপোর্টার
সীমান্তের ওপারের মেঘালয়ের নালিকটা থেকে সাহেদাবাদ-নালিকটা বর্ডার হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সঙ্গে আসছেন ৫৫ বছর বয়সী শান্তিদেবী। বললেন, ‘সাহেদাবাদের করিম বাবার ছেলেরে দেখতে আইছি। করিম বাবা আমারে (আমাকে) ধর্মের মাইয়া (মেয়ে) বানাইছিল (বানিয়েছিল), কত আদর করতো, তার ছেলে সাবিররে ১১ বছর আগে দেখছিলাম, আর দেখছি না, আজগে (আজকে) সুযোগ পাইছি বর্ডার হাটে আইছি, তার ছেলে আইবো, তারে দেখবার লাগি বইয়া রইছি।’
একই এলাকার মধ্যবয়সী রুবি রায় বললেন, দেশ বিভাগের আগে আমার দাদু এইখানকার সূর্যেরগাঁও আছলা (ছিলেন)। বাবা শশী মোহন রায়ের জন্মও সূর্যেরগাঁও। আত্মীয়-স্বজন ইখানো (এখানে) আছইন (আছেন), তারারে দেখবার লায় আইছি (এসেছি)।’
সীমান্তের ওপারের কাকরগড়া থেকে নিখিল দে এসেছেন সুনামগঞ্জের পলাশে থাকা পিশাতো (ফুফাতো) ভাই ও সিলেটের মেজর টিলায় থাকা মামাতো ভাইদের সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, বিকাল তিনটার মধ্যেই তারা এসে পড়বে। তাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হবে। পরে কেনা কাটা করে ফিরবো।
কেবল রুবি, শান্তিদেবী ও নিখিল নয় সীমান্তের ওপার থেকে অনেকেই বুধবার তাহিরপুর সীমান্তের বর্ডার হাটে এসেছিলেন স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জায়সওয়ালও বললেন, এই হাট হৃদ্যতা বাড়ায়। এখানে ট্যাক্স ছাড়াই ক্রেতারা একটি নির্দিষ্ট অংকের মালামাল কিনতে পারেন। আবার ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই স্বজনদের সঙ্গে এখানে দেখা সাক্ষাৎ হয়। দেশের সবকয়টি বর্ডার হাটই এই অর্থে সফল।