স্টাফ রিপোর্টার
দোয়ারাবাজারে উপহারের ঘরের ফ্লোরের ঢালাইয়ে শাবল দিয়ে চাপ দিতেই ওঠে গেলে সিমেন্ট-বালির আধা-ইঞ্চি আস্তরণ। নীচে কোন ইটও পাওয়া গেলো না। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী সরেজমিনে গিয়ে এমন ত্রুটি দেখতে পান।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তিনটি নির্মাণাধীন ঘর সরেজমিনে দেখে ফ্লোরে একই ত্রুটি পান তিনি। এসময় ঘরের কাজে ব্যবহারের জন্য আনা নি¤œমানের ইট ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাপ দিয়ে ঘরের উচ্চতাও কিছুটা কম পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলা প্রশাসক।
বিক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদের কাছে জানতে চান, এটি কিসের ঘর? উত্তরে উপহারের ঘর বলায়, জেলা প্রশাসক বললেন, ঘরটি যেন উপহারের মতই হয়। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আমরা কেবল হস্তান্তর করছি। ত্রুটিমুক্ত না করা হলে, ঘর সমঝে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
দোয়ারাবাজারের মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুরে উপহারের ১০৯ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর আগে গেল বছরের ১৩ আগস্টে একই পল্লীর উপহারের ঘরের ভীমের মাথায় চার টুকরা রড বাইরের দিকে বের করে দিয়ে ভেতরে রড় ছাড়া ভিম দেওয়ায় সাবেক জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে ঘর ভেঙে নির্মাণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বললেন, দোয়ারাবাজারের আজমপুরের উপহারের ঘর নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয় নি। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখার সময় ছোটখাটো কিছু সমস্যা দেখে, সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- নামের ‘দুর্নাম’ ঘোচাতে লাগলো ৫২ বছর
- জামালগঞ্জে বোরো ধান ক্রয়ের উদ্বোধন