উৎপাদন খরচের তিনগুণে বিক্রি লতা কচু/লাভবান চাষী

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
লতাকচু কে স্থানীয় ভাষায় লতিরাজ বলা হয়। খাবার জন্য এই কচু কমবেশী সবাই চাষ করেন। এই কচু চাষে পরিশ্রম একটু বেশীই হয়। তবে উৎপাদন খরচের তুলনায় তিনগুণ লাভ হওয়ায় দিন দিন লতাকচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জ সদর, সাচনা বাজার, ভীমখালী, জামালগঞ্জ উত্তর ও ফেনারবাক ইউনিয়নে ৫ হেক্টর জমিতে লতাকচু ও মুখি কচু চাষ করা হয়েছে। আগাম উৎপাদন করায় অনেকে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।
প্রায় ৫ বছর ধরে বাণিজ্যিক ভাবে কচুর চাষ বেড়েছে। গতবছর তিন হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হলেও এবার ২ হেক্টর জমিতে বেশী করেছেন চাষীরা। অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা কচু চাষে অগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলার হাট বাজারে প্রতি কেজি কচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে লতা।
উপজেলার সাচনা বাজার, জামালগঞ্জ বাজার, চানপুর বাজার, নোয়াগাঁও ও মন্নানঘাট বাজারে প্রতিদিনই আগাম তোলা লতাকচু বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে কচুর কদর বাজারে বেশী থাকায় চাষাবাদ বেড়েছে অনেক গুণ।
সাচনা বাজার ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মো. আলমগীর জানান, আগাম লতিকচু চাষ করে বাজারে বিক্রি করে খরচের চেয়ে তিনগুন লাভ করেছেন তিনি। তিন বছর ধরে তিনি কচুর চাষ করে আসছেন। কচুর সবকিছুই বাজারে বিক্রি করা যায়। লতি উঠানোর পরে কচুর ডাটা, কচুর মুড়া ও বিক্রি করা যায়। কচু চাষে লাভবান হওয়ায় অনেকেই এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জাল্লাবাজ গ্রামের কচুচাষী আব্দুস সুবহান বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে লতাকচু চাষ করেছি। অন্যান্য তরকারির তুলনায় কচুর চাষে সার অনেক কম লাগে। জৈব সার পরিমান মত দিলেই হয়। তাই জমির চাহিদা অনুযায়ী সেচ দিয়ে কম খরচে বেশী উৎপাদন করা যায়। যে পরিমান খরচ হয়েছে তা লতা বিক্রি করেই উঠে গেছে। আরও দুই মাস লতা বিক্রি করতে পারবো। এতে খরচের তিনগুণ লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানান, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের লতাকচু চাষ করছেন। পরিশ্রম কিছু বেশী হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।