এইচএসসি সিলেবাসের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত

সু.খবর ডেস্ক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমি মনে করি এইচএসসিতে যে সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, সেই সিলেবাসের ওপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে, সেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা এবারও হবে। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করব যে সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে সে সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হোক।
একই বিষয়ে বার বার পরীক্ষা হওয়া উচিত না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটাই পরীক্ষা হোক। যেমন ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে একটা পরীক্ষা হওয়া উচিত। একই জিনিস বার বার করার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। এই পদ্ধতি যতদিন না হয় ততদিন চলমান গুচ্ছ পরীক্ষাটা আরও কীভাবে ভালো করা যায় তার জন্য কাজ করা উচিত।
দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কলেজ পাস করার পরেই উচ্চশিক্ষায় যান। আমরা তাদের জন্য কিছু কোর্স চালু করেছি। আমি আশাবাদী তারা সেখান থেকে উপকৃত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটালে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এবার ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছে, এমনকি আজকের ফলাফলও তারা অনলাইনে জানতে পারছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হিসেবে বেড়ে উঠছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক—শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির আগে এপ্রিলে পরীক্ষা হলেও এবার মহামারি ও কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটায় যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠ ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল। এবারের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ১২টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। পরীক্ষার নম্বরে পরিবর্তন এনে তাদের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সূত্র : সময়টিভিঅনলাইন