ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে একই স্থানে দুই ব্যক্তির নামে পৃথক দুটি সেচ প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও জমিতে সেচ কার্যক্রম নিয়ে যে কোন সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি অবগত হয়ে ছাতক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ বিএডিসি’র উপসহকারী প্রকৌশলী এবং পল্লী বিদ্যুৎ—২ কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের জিএম বরাবরে পৃথক চিঠি দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাংপাড় নোয়াকুট এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিকে বোরো ফসলের আওতায় আনতে দীর্ঘ দিন পূর্বে সরকার সোনাই নদীর উপর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বোরো মৌসুমে কৃষি সেচের কাজে ব্যবহার করা হয় রাবার ড্যামের মজুতকৃত পানি। সেচ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ছনবাড়িবাজার কৃষি সেচ প্রকল্প নামে লাইসেন্স দিয়ে থাকে সরকারীভাবে। চলতি মৌসুমে নোয়াকুট—গাংপাড় গ্রামের সোনা মিয়ার পুত্র আপ্তবুজ্জামান সরকারীভাবে কৃষি সেচ প্রকল্পের লাইসেন্স গ্রহণ করে গভীর নলকূপের মাধ্যমে এলাকার বোরো জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ লক্ষে ১১ নভেম্বর তার নিজস্ব ভূমিতে পল্লী বিদ্যুতের খঁুটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ লাইন টানার সময় গ্রামের একটি পক্ষ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় ছনবাড়ি বাজার কৃষি সেচ প্রকল্পের লাইসেন্স প্রাপ্ত গাংপাড় নোয়াকুট গ্রামের আপ্তাবুজ্জামানের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান একই গ্রামের মখলিছুর রহমান, রফিক মিয়া, করম আলী, হুছন আহমদ ও রিপন আহমদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ (স্মারক নং ৯২২) দেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরেরজামান চৌধুরী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেন।
এদিকে একই স্থানে বিএডিসি কর্তৃক রফিক আহমদের নামে আরো একটি কৃষি সেচ প্রকল্পের লাইসেন্স প্রদান করলে কৃষি সেচ প্রকল্পে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি অবগত হয়ে জটিলতা নিরসনে সুনামগঞ্জ বিএডিসির উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রদান করা হয়। ৩০ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, একটি লাইসেন্সের স্থল আরো একটি লাইসেন্স অনুমোদন দেয়ায় সেচ কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পক্ষে—বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ইউএনও বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য বলা হয় সুনামগঞ্জ বিএডিসি’র উপ সহকারী প্রকৌশলীকে। একইভাবে পৃথক চিঠিতে নুতন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ—২ কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম কে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় ছাতক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
- মিরাজের দৃঢ়তায় জয় টাইগারদের
- হঠাৎ করে প্রাথমিকে পুনরায় বৃত্তি পরীক্ষা কেন?