এক বছরে ৪০টি চুরি/ গ্রেফতার ৫২ চোর

স্টাফ রিপোর্টার
গত এক বছরে (২০২২) সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৪০টি চুরির মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি মামলায় ৫২ চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ চুরির সাথে সম্পৃক্ত চোরদের গ্রেফতারে পাশাপাশি মালামালও উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গত রবিবার রাতে চুরি যাওয়া একটি বাসার মালামাল উদ্ধার ও চোর আটকের প্রেসবিজ্ঞিপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
তিনি জানান, রবিবার রাতে পৌর শহরের বাঁধনপাড়া এলাকার ৩ তলার একটি বাসার মূল দরজার তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এসময় বাড়ির লোকজনডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন।
গত সোমবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান বিশ্বম্ভপুর উপজেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের জালাল সরকারের ছেলে চিহ্নিত চোর সাদ্দাম হোসেন সরকার (৩৭) ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মথুরকান্দি গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়াত ছেলে সবুজ মিয়াকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত এক বছরের চুরি যাওয়ার তথ্য জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকায় চুরির ঘটনা সংক্রান্তে মোট ৪০টি মামলা রুজু হয়। এর মধ্যে ৩০টি মামলার চোরাই যাওয়া আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেলা জজ আদালত ভবনের দক্ষিণ দিকের গাড়ি রাখার গ্যারেজে থাকা ১টি ফ্লাগ স্ট্যান্ড, হাছননগর (সহিফা সমরু রোড) রাফা মঞ্জিল থেকে চুরি যাওয়া ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৬০ হাজার টাকা মূল্যের প্রাইজ বন্ড, সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের টিচার্স রুম ও প্রিন্সিপালের রুম থেকে চুরি যাওয়া ১টি রঙ্গিন টেলিভিশন, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি ডেক্সটপ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১২৫ নম্বর এজলাস কক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনের চোরাইকৃত মোবাইল ফোন এবং সেবা ডায়গস্টিক সেন্টার থেকে চোরাইকৃত প্যাথলজিক্যাল মেশিন ও বিভিন্ন চোরাই আলামত, বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন রতারগাঁও সাকিনস্থ আমির হামজার বাড়ী থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার সহ ভিন্ন ভিন্ন মামলার চোরাইকৃত ৭টি সিএনজি, ৩টি মোটর সাইকেল, ১টি ইজিবাইক এবং গবাদিপশু। এছাড়াও উল্লেখিত মামলার সাথে জড়িত ৫২ জন চোরকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।