স্টাফ রিপোর্টার
বিগত বছরের তুলনায় সুনামগঞ্জ জেলায় এবার কমেছে পাসের হার। তবে বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা। গেল বছরে পাশের হার ছিল ৯৪.১৩ শতাংশ। যা এবার ১১.২৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৮২.৮৫ শতাংশ। তবে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৮৯ জন। যা গত বারের তুলনায় ১৩০ টি বেশি। এছাড়াও গতবার শতভাগ পাশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৭টি। যা এবার শূন্য। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাশ করেছে ৯ হাজার ৮৯৩ জন। জেলায় ফলাফলের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ। আর নিচের দিকে রয়েছে মইনুল হক কলেজ।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ৭৪৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ৩৯৪ জন ছেলে এবং ৩৫২ জন মেয়ে। এর মধ্যে পাশ করেছে ৭১১ জন। যার মধ্যে ৩৭৪ জন ছেলে এবং ৩৩৭ জন মেয়ে। পাশের হার ৯৫.৩১ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর ২২.২ শতাংশ অর্থাৎ ১৫৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে ৮২ জন ছেলে এবং ৭৬ জন মেয়ে। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১০৩ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়াও এবার জিপিএ ৪ পেয়েছে ৪১৫ জন, জিপিএ ৩ পেয়েছে ১২৩, জিপিএ ২ পেয়েছে ১৪ জন, জিপিএ ১ পেয়েছে ১ জন।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রজত কান্তি সোম মানস বললেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মনোযোগি করতে। অভিভাবকরা সহায়তা অব্যাহত রাখলে সামনের দিনগুলো হয়তো আরও ভালো আসবে। কলেজের বাণিজ্য বিভাগে কিছুটা ঘাটতি আছে, সেটিও এগিয়ে নেবার চেষ্টা চলবে।
মইনুল হক কলেজে ৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে মাত্র ২০ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৪ পেয়েছে ১ জন, জিপিএ ৩ পেয়েছে ১৪, জিপিএ ২ পেয়েছে ৫ জন। পাশের হার ২০.৬২ শতাংশ।
সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে ৫৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৯২ জন। পাশের হার ৮৩.১১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ জন।
সুনামগঞ্জ পৌর কলেজে ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪৫ জন। পাশের হার ৬২.৯৮ শতাংশ।
আলহাজ¦ মতিউর রহমান কলেজে ৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৯ জন। পাশের হার ৯৫.৮৩ শতাংশ।
ইসলামগঞ্জ কলেজে ১৯৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২১ জন। পাশের হার ৬১.৭৩ শতাংশ।
নর্থ ইস্ট আইডিয়াল কলেজে ১৫৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২৩ জন। পাশের হার ৭৭.৩৬ শতাংশ।
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার দিগেন্দ্র বর্মন কলেজে ৫৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪২০ জন। পাশের হার ৭৭.৪৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী।
রতারগাঁও হাইস্কুল এন্ড কলেজে ৯২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৯ জন। পাশের হার ৫৩.২৬ শতাংশ।
ছাতক উপজেলার বাংলাবাজার সামারুন্নেছা হাই স্কুল এন্ড কলেজ ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৩ জন। পাশের হার ৩৬.১১ শতাংশ।
বুরাইয়া স্কুল এন্ড কলেজে ৪৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৩ জন। পাশের হার ৫১.১১ শতাংশ।
ছাতক কলেজে ৫৮৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫২৫ জন। পাশের হার ৮৯.৪৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৯ জন।
গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজে ৬৬৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫৮ জন। পাশের হার ৬৯.০৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন ।
জনতা মহাবিদ্যালয়ে ২৪৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২২৬ জন। পাশের হার ৯১.৫০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
জাউয়াবাজার কলেজে ৫৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৪১ জন। পাশের হার ৮১.৮২ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন ।
ঝিগলি হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৪ জন। পাশের হার ৯৮.৪৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন ।
সমতা স্কুল এন্ড কলেজে ১০০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯৭ জন। পাশের হার ৯৭.০০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন।
দিরাই উপজেলার আটগ্রাম কলেজে ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪ জন। পাশের হার ৬৬.৬৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ফ্যামেলী একাডেমিতে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪০ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৫.২৪ শতাংশ।
হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ৫৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫১ জন। পাশের হার ৮৭.৯৩ শতাংশ।
বিবিয়ানা মডেল কলেজে ২৪৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪১ জন। পাশের হার ৯৮.৭৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ জন।
দিরাই কলেজে ৭৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৩৩ জন। পাশের হার ৮৪.৬৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ জন।
জগদল কলেজে ৯১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮০ জন। পাশের হার ৮৭.৯১ শতাংশ।
রজনীগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৯ জন। পাশের হার ৯২.৪৫ শতাংশ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজে ১৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৭ জন। পাশের হার ৭৫.০০ শতাংশ।
ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ কলেজে ৩০৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২১৩ জন। পাশের হার ৬৯.৩৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন।
বংশীকুন্ডা কলেজে ৮৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮১ জন। পাশের হার ৯৬.৪৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন।
ধর্মপাশা কলেজে ৩৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮৬ জন। পাশের হার ৭২.০৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ জন।
গোলকপুর হাজী এ. হাফিজ হাইস্কুল এন্ড কলেজে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২ জন। পাশের হার ৩২.৪৩ শতাংশ।
লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ৫৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৬ জন। পাশের হার ৯৬.৫৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন।
মধ্যনগর বিশে^শ^রী পাবলিক হাইস্কুল এন্ড কলেজে ১৯৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৮৬ জন। পাশের হার ৯৩.৪৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
দোয়ারবাজার উপজেলার বড়খাল হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১৯২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৮৬ জন। পাশের হার ৯৬.৮৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ জন।
বোগলা রোসমত-আলী রামসুন্দর হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১০৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৯ জন। পাশের হার ৮৩.৯৬ শতাংশ।
দোয়ারাবাজার কলেজে ১৯৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৬৭ জন। পাশের হার ৮৫.২০ শতাংশ।
ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজে ২৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪ জন। পাশের হার ৮৮.৮৯ শতাংশ।
লিয়াকতগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১০৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৭ জন। পাশের হার ৫২.২৯ শতাংশ।
প্রগতি হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪০ জন। পাশের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
সমুজ আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১৫৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৬ জন। পাশের হার ৭২.৯৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
জগন্নাথপুর উপজেলার চন্দন মিয়া সৈয়দুননেছা কলেজে ৮০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৫ জন। পাশের হার ৬৮.৭৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন।
জগন্নাথপুর কলেজে ৫৩২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫৪ জন। পাশের হার ৮৫.৩৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন।
নয়াবন্দর হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৩ জন। পাশের হার ৮৫.১৪ শতাংশ।
রানীগঞ্জ কলেজে ১৭৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২৭ জন। পাশের হার ৭৩.৪১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ে ২৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২২২ জন। পাশের হার ৯১.৭৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন।
ষড়পল্লী হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৮০.৩৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন।
শ্রীরামসী হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৩১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২১ জন। পাশের হার ৬৭.৭৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
সৈয়দপুর আদর্শ কলেজে ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৪ জন। পাশের হার ৩৫.৯০ শতাংশ।
পাড়ারগাঁও আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৫ জন। পাশের হার ৫৩.০৩ শতাংশ।
জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ কলেজে ৬৪১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫৩ জন। পাশের হার ৭০.৬৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ জন।
শাল্লা উপজেলার ভাটিপাড়া কলেজে ৮২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬১ জন। পাশের হার ৭৪.৩৯ শতাংশ।
সাউধেরশ্রী হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫১ জন। পাশের হার ৯১.০৭ শতাংশ।
শাল্লা কলেজে ৪৩৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪০৬ জন। পাশের হার ৯৩.৭৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৬ জন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ কলেজে ১২৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৯ জন। পাশের হার ৮৭.৯০ শতাংশ।
ডুংরিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৭৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৫ জন। পাশের হার ৯৪.৯৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন।
পাগলা হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১৩০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৪ জন। পাশের হার ৮৭.৬৯ শতাংশ।
সুরমা হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৮ জন। পাশের হার ৭৬.৫২ শতাংশ।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট কলেজে ৪১৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৮৭ জন। পাশের হার ৯৩.৪৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ জন ।
জয়নাল আবেদিন কলেজে ১১১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৪ জন। পাশের হার ৫৭.৬৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১০৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৮ জন। পাশের হার ৭৪.২৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।
টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি স্কুল এন্ড কলেজে ১০১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৮ জন। পাশের হার ৭৭.২৩ শতাংশ।
- ভূমিকম্পের বিপদসংকেত
- হাওরে নেই সাইনবোর্ড, নেই পাউবোর লোকজন