কোমল পানীয়তে কীটনাশক মেশানের অভিযোগ/ পান করে অসুস্থ এক শিশু

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে কোমল পানিয়তে কীটনাশক মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর কীটনাশক মেশানো কোমল পানিয় পান করে তানিছা আক্তার নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশু গুরুতর অসুস্থ্য হয়েছে। শনিবার দুুপুরে শিশুটির মা তহুরা আক্তার স্বপন মিয়াসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শিশুটি ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের বাদেহরিপুর গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী তহুরা আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে বসতঘরের সামনের কক্ষে একটি মনোহারি দোকান পরিচালনা করেন। তাদের একটি ষাঁড় রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে তহুরার স্বামী কাজের সন্ধ্যানে নরসিংদি চলে যায়। সেই সুযোগে স্বপন মিয়া ও তার সহযোগী বাঘাউচা গ্রামের আলম প্রায়ই তহুরাকে তাদের ষাঁড়টি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এমনকি রাতের বেলায় স্বপন ও আলম তহুরার বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে দিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তহুরা। পরে রাত ১২টার দিকে স্বপন ও আলম পণ্য ক্রয়ের জন্য তহুরাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তহুরা ঘুম থেকে উঠে তাদের কাছে দুটি কোমল পানিয় বিক্রি করেন। এ সময় স্বপন মিয়া অর্ধেক বোতল কোমল পানিয় পান করে তহুরাকে অবশিষ্ট পানিয় পান করার জন্য বলে। তহুরা এতে রাজি না হলে তারা অবশিষ্ট পানিয় দোকানের গদির ওপর রেখে চলে যায়। সকালে তানিছা ঘুম থেকে উঠে সবার অজান্তে অবশিষ্ট কোমল পানিয় পান করে। কিছুক্ষণ পর তানিছা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাজারে ফার্মেসিতে চিকিৎসা করলে তানিছার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্বপন তানিছার পরিবারকে টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছে।
তহুরা আক্তার বলেন, আমার অজান্তে স্বপন এতে (কোমল পানিয়) কীটনাশক মিশিয়ে আমাকে খাওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি খাইনি। যা খেয়ে আমার মেয়ে অসুস্থ্য হয়েছে।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া বলেন, আমি স্পিড খাওয়ার সময় তহুরাকে গ্লাসে করে খেতে দিয়েছি। তহুরাও খেয়েছে। আমি অবশিষ্ট কিছু রেখে যাইনি। তহুরার মেয়ের অসুস্থ্যতার কথা শুনেছি। জানতে পারলাম চিকিৎসার জন্য তারা টাকা যোগাড় করেছিল। কিন্তু সেই টাকা হারিয়ে ফেলায় আমি চিকিৎসার জন্য আমি দুই হাজার টাকা দিয়েছি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।