সোহানুর রহমান সোহান
গেল বছরের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে শহরতলির ধারারগাঁও-ব্রাহ্মণগাঁও সড়ক। বন্যায় পানির প্রবল চাপে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসে গেছে মাটিসহ সড়ক। সড়কে গর্ত হয়ে যাওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে ভাঙা অংশগুলো পার হতে হয় যাতায়াতকারীদের। নদীর তীরবর্তী সড়ক হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশি। সড়কের এমন দুরবস্থা যে চলাচল করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙা সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হচ্ছে মানুষ। সড়কে চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় কয়েক গ্রামের মানুষ ছাড়াও বিরামপুর, রঙ্গারচর, আশাউরা সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে। ভাঙা সড়কের কারণে চলাচলে কষ্ট করছেন লাখো মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের।
গোধারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইরিন বলেন, স্কুলে আসার পুরো পথই ভাঙা। যার জন্য স্কুলে আসতে কষ্ট হয়। রাস্তা যদি ঠিক করে দেয়া হয় আমাদের সুবিধা হবে।
একই কথা বললেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুন নেসা খাতুন। তিনি বলেন, নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণগাঁও সড়ক পুরোটাই খারাপ। বিদ্যালয়ে আসতে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ক্ষুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
খাইমতর এলাকার আতাউর রহমান বলেন, আমরার নসিব খারাপ। আমাদের সড়কের খারাপ অবস্থা কেউ দেখে না। ভাঙা সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েকদিন আগেও গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে অটোরিকশা উল্টে হাত ভেঙে যায়।
ধারারগাঁও-ব্রাহ্মণগাঁওয়ের সড়ক সহ বন্যায় ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার প্রায় সবকটি সড়ক। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক মেরামত করতে কোটি কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেই প্রকল্প পাস হয়ে কবে ঠিক হবে এসব সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কেউ জানে না। এতো বড় প্রকল্পের অপেক্ষা না করে সামান্য একটু উদ্যোগ নিলেই অনেকটা দুর্ভোগ কমে যেত এখানের লাখো মানুষের। পুরো সড়ক মেরামত করা না গেলেও যেটুকু অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটুকু সংস্কার করে দিলেই আপাতত নিরাপদে চলাচল করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খাইমতের বয়োজ্যেষ্ঠ আম্বর আলী বললেন, বন্যার পর তাকি রাস্তা খারাপ। গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে প্রায়। এভাবেই চলছি আমরা।
দিলোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যেকদিন ভাঙায় পড়ে গাড়ি উল্টানোর ঘটনা ঘটছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই রাস্তার গর্তগুলো যদি মাটি দিয়ে ভরে সংস্কার করা যেতো অনেক দুর্ঘটনা থেকে মানুষ বেঁচে যেত।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বললেন, সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল বেশি তাই সব জায়গায় রিপিয়ারিং করা সম্ভব হয় না। বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিপিয়ারিং চেষ্টা করে যাচ্ছি।
- ছাতকে ধর্ষণের শিকার তরুণী/ সাালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা
- মসজিদে মুসল্লিকে মারপিট/ জামায়াতের ৫ নেতাকে আসামী করে মামলা