মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ
জামালগঞ্জ উপজেলার নারীরা গোবরের চটা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কয়েকশ’ নারী। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে গোবরের তৈরী চটা। জ¦ালানির অভাবে গ্রামাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোবরের চটা। দাম কম হওয়ায় এবং গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের ছাড়াও অন্য সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোবরের চটা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসচ্ছল পরিবারের নারীরা সড়কের পাশ অথবা হাওরের মাঠ-ঘাটে বা গবাদি পশু বিচরণ স্থানে থেকে গোবর সংগ্রহ করে থাকেন। আবার অনেক নারী পাশর্^বর্তী সচল পরিবারের গোয়াল ঘর থেকে গোবর সংগ্রহ করে থাকেন। ধানের খড় গোলাকৃত করে গোবর মাখিয়ে তৈরী করা হয় চটা। রোদে শুকিয়ে ২ দিন পরই চটা বিক্রির উপযোগী হয়। জামালগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ উত্তর, ফেনারবাঁক ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামে নারীরা অবসর সময়ে চটা তৈরি করছেন। তৈরির উপকরনের মধ্যে রয়েছে ধানের খড় আর গরু অথবা মহিষের গোবর।
কালীপুর গ্রামের সখিনা বেগম, লম্বাবাকের রহিমা খাতুন, চাঁনপুরের মমিনা বেগম ও আলীপুর কদবানু বলেন, আমরা গরুর পরিত্যাক্ত গোবর বিভিন্ন হাওর ও বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে খড়ে লেপে চটা তৈরি করি। এরপর রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসাবে বিক্রি করি। প্রতিটি চটা আগে ছিল ৫ টাকা এখন ৮টাকায় বিক্রি করি।
ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার বলেন, কিছুদিন আগে প্রতিটি গ্রামের মহিলারা চটা কিনে লাকড়ি হিসাবে ব্যবহার করত। এখন গ্যাসের দাম বাড়ায় ও চটার দাম কম হওয়ায় অনেক পরিবারের লোকজন লাকড়ি হিসাবে চটা ব্যবহার করছে। অনেক এলাকার নারীরা গোবরের চটা বিক্রি করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।
- শেখ কামাল আন্তঃস্কুল-মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- মসজিদ-মন্দিরে প্রচারণা, কমেছে মামলা