জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
গত এক দশক ধরে জামালগঞ্জ উপজেলার ঘরে ঘরে গ্যাসের চুলার ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে আবারও কদর বেড়েছে লাকড়ি চুলার। দফায় দফায় গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বর্তমানে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে হাতে বানানো মাটির চুলা ব্যবহার করছেন উপজেলার অনেক গ্রামের গৃহিণীরা।
জানা যায়, ৭০০টাকার গ্যাস সিলিন্ডার এখন ১৬০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। তাই গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসাবে উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে বাড়ছে গৃহিণীদের হাতে বানানো লাকড়ীর চুলা। পাশাপাশি অনেকে সিমেন্ট দিয়ে বিভিন্ন এনজিওর চুলাও ব্যবহার করছেন।
আগে লাকড়ির চুলার তেমন বিক্রি না হলেও বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের নারীরা লাকড়ির চুলা তৈরী করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৩শত থেকে ৪শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাটির তৈরী করা চুলা। অনেকে চুলা তৈরি করার জন্য কারিগরদের বাড়ি গিয়ে আগাম বায়না দিয়ে আসছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কামলাবাজ ও চাঁনপুর গিয়ে দেখা যায়, নারীরা মাটির চুলা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাঁনপুর গ্রামের গৃহিণী আছমা আক্তার বলেন, এত দামে গ্যাস কিনে আমাদের পক্ষে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই লাকড়ির চুলা কিনে এনেছি। কষ্ট হলেও লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় রান্না করছি। তাছাড়া মাটির তৈরী চুলায় রান্নার খরচ অনেক কম।
সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের ৬০ বছরে বৃদ্ধা মনেছা বেগম বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে মাটির চুলার ভূষি, কুড়া, গাছের মরা ডাল ও পাতা দিয়া রানছি। কিছু দিন আগে গ্যাসের দাম বাইরা গেছে, তাই আগের মাটির চুলায় রান্না করছি।
জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ বলেন লাকড়ির ঝামেলা এড়াতে এক দশক যাবত গ্রামের মহিলারা গ্যাসের চুলার রান্না করত। এখন গ্যাসের দাম দফায় দফায় লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ নারীরা আবার পূর্বের লাকড়ির চুলার রান্না করছেন।
- তাহিরপুরে ভাইয়ের হাতে খুন
- পবিত্র শবে মেরাজ আজ