ছাতকে ধর্ষণের শিকার তরুণী/ সাালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা

ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সালিশের নামে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন ইউপি সদস্য সহ গ্রামের কতিপয় মাতব্বর। তারা থানা-পুলিশ থেকে কৌশলে দূরে রেখেছে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে। ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও আইনি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের পালপুর গ্রামে। একই ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের সুজাত আলীর পুত্র রুবেল আহমদ (২০) এর উপর এ ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যয়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ধর্ষিতা তরুণীকে সোমবার সকালে কৌশলে পালপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় রুবেল। আশেপাশে লোকজন না থাকায় রুবেল জোরপূর্বক সে ধর্ষণ করে তরুণীকে। এসময় ধর্ষিতার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ধর্ষক রুবেল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিস্পত্তি করে দেয়ার কথা বলে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় যাওয়া থেকে বিরত রাখেন স্থানীয় কতিপয় মাতব্বর। একই সাথে সালিশে নিস্পত্তি না পর্যন্ত ধর্ষক রুবেলকে ইউপি সদস্য মোজাক্কির আহমদের জিম্মায় দেন সালিশকারীগণ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ জিম্মার নামে ধর্ষক রুবেলকে পালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন ইউপি সদস্য মোজাক্কির আহমদ।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোজাক্কির আহমদ জানান, রুবেল তাকে মারধোর করে পালিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার, ছাতক সার্কেল রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় এসেছিলেন। এখানো কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তা প্রদান করা হবে।