ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক মতিউর রহমানের লাশ চার দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলার ভোজনা নদী থেকে দোয়ারা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। মতিউর রহমান ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের লক্ষীবাউর গ্রামের আফতাব মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, ১৯ এপ্রিল রাতে একই গ্রামের জাবির মিয়ার সাথে সুরমা নদীতে মাছ ধরার কথা বলে নদীতে যায় মতিউর রহমান (২৬)। একসাথে মাছ ধরতে গিয়ে ওই রাতেই জাবির মিয়া বাড়ি ফিরে এলেও মতিউর রহমান বাড়ি ফিরেনি। তখন থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে।
জানা গেছে, গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র জাবির মিয়া ওই রাতে সুরমা নদীতে মাছ ধরার কথা বলে মতিউর রহমানকে ডেকে নিয়েছিলো। মতিউর রহমান ফিরে না আসায় এ ব্যাপারে ছাতক থানায় একটি জিডিও করেছেন মতিউরের পিতা আফতাব মিয়া। শুক্রবার সুরমা নদীর ভোজনা এলাকায় একটি ড্রেজিং জাহাজের পাইপের সাথে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে দোয়ারা থানার এস আই দিলু দে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন। স্থানীয়দের ধারনা মঙ্গলবার রাতে প্রচন্ড ঝড়ের সময় সুরমা নদীর বাউশা এলাকায় থাকা নদী খননের ড্রেজারে (এক্যুয়া-সার-৩,এম১৩৮৩৭ সার্ক-৩) নিয়ে তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। মতিউর রহমান নিখোঁজের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছাতক থানার এস আই আতিকুল ইসলাম খন্দকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন জাবির মিয়াকে। তার একটি মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ তিন জন সুরমা নদীর বাউশা এলাকায় থাকা নদী খনন কাজের ড্রেজার একু্যুয়া-৩ এর শ্রমিক।
ছাতক থানার এস আই আতিকুল ইসলাম খন্দকার জানান, চার জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
দোয়ারা বাজার থানার এস আই দিলু দে জানান, লাশের দুটো চোখ সহ কয়েকটি স্থানে আঘাত রয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তে জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
- সোনালী স্বপ্ন গোলাজাত করতে মরিয়া কৃষক
- তাহিরপুর ২৭১ বস্তা সার আটক, অবৈধ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন