জাতিকে বীর শূন্য করতে লিটনদের হত্যা কর হয়

স্টাফ রিপোর্টার
লে. কর্নেল এলাহী মনজুর চৌধুরী লিটন ছিলেন বিনয়ী মানুষ। সুযোগ পেলেই তিনি সুনামগঞ্জের মানুষকে সহযোগিতা করতেন। তাঁর মৃত্যু সুনামগঞ্জবাসীকে কাঁদিয়েছে। জাতিকে বীর শূন্য করার জন্য পিলখানার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, লিটনের পরিবারের ভদ্রতা, বিনয়ী আচরণ জেলার সকলের কাছেই সমাদৃৃত। লিটনের মৃত্যুতে রাষ্ট্র হারিয়েছে মেধাবী সেনা অফিসারকে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বেঁচে থাকা জরুরি ছিল। তাঁর কর্মজীবন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরি।
শনিবার সন্ধায় সুনামগঞ্জ শহরের জগৎজ্যোতি পাঠাগারে বিডিআর সদর দপ্তরে নিহত লে. কর্নেল এলাহী মঞ্জুর চৌধুরীর স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আপ্তাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রয়াত লিটনের বড় ভাই জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, রাজনীতিবিদ রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড তৈয়বুর রহমান বাবুল, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, নারীনেত্রী উষা রায়, মহিলা কল্যাণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দিলারা বেগম, কবি ও গীতিকার ইশতিয়াক রুপু, আইনজীবী সাংবাদিক অ্যাড আইনুল ইসলাম বাবলু, অ্যাড. সালেহ আহমদ, স্নেহাংশু শেখর বর্মণ, প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বর্তমানে বিজিবি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করেন বিপথগামী বিডিআর সদস্যরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল কলঙ্কজনক ঘটনা বলে বিবেচিত। ঐ দিন ঢাকার পিলখানায় হত্যাকা-ে নিহত হন সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এলাহী মঞ্জুর চৌধুরীও।