জামালগঞ্জে গরমে মারা যাচ্ছে মুরগি

জামালগঞ্জ সংবাদদাতা
তিন বছর আগে পোল্ট্রি মুরগীর খামার শুরু করেন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নয়াহালট গ্রামের আব্দুল মান্নান। প্রথম দিকে ভালোই চলছিল তার খামারটি। কিন্তু বর্তমানে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকার কারণে গরমে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি মুরগী মারা যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই খামারি।
মান্নান জানান, ব্যবসা শুরুর প্রথম বছর ভাল কাটলেও করোনা সময় থেকে মুরগির খাবারের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে অনেকটা চাপের মধ্যে ছিলাম। গেল দুই বছর লস দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। সম্প্রটি অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিন খামারে ৮ থেকে ১০টি মোরগ মারা যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মোরগী মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি মোরগির ওজনও কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, উপজেলার অন্য খামারিরাও একই অবস্থায় আছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে অতিরিক্ত গরমে প্রত্যেক খামারেই মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
কাশিপুর গ্রামের খামারী নাজমুল বলেন, পোলটি মুরগির একটি বাচ্চা কিনতে হয় ২৪ টাকায়, তারপর খাবার খাইয়ে বড় করতে হয়। এখন দিনে ৮ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। জেনারেটার কেনারও সামর্থ্য নেই। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, রাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে, কিন্তু কই আমরাতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এখন না পারছি ব্যবসা ছাড়তে না পারছি ধরে রাখতে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ সহকারী কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাশেম ঘনঘন লোডশেডিং ও খাবারের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, পোলট্রি খামার একটি সেনসেটিভ বিষয়। সবচেয়ে বড় ফ্যাক্ট তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পোলট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খামারে একঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে বিশেষ করে বয়লার মুরগি ষ্ট্রোক করে। তবে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে টিনসেডের চালায় পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।