দিরাই সংবাদদাতা
জায়গার দখল নিতে গ্রামের শতাধিক গরু-বাছুর ছেড়ে দেয়া হয় ফসলি জমিতে। এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে ৮৫ টি করচ জাতের গাছ উপড়ে ফেলা হয়। ফসলি জমির মাটি খনন করে তৈরি করা হয় পুকুর। মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামের লোকদের সংগঠিত করে দিনব্যাপী চালানো এই তাÐব ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করে হামলাকারীরা। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
রেকর্ডিয় সম্পত্তি জবরদখলের উদ্দেশ্যে এই তাÐব চালানো হয় দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামে। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জমির মালিক মনিরুজ্জামান চৌধুরী।
দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, দিরাই উপজেলাধীন কুলঞ্জ মৌজায় অবস্থিত জে.এল.নং- ১৪৫, আর.এস খতিয়ান- ১৮৫, আর এস দাগ নং- ৪৫৩১, ৪৫৩৮, ৪৫৩৯, ৪৫৪৩ নং দাগে ৭.২২ শতক। আর.এস খতিয়ান- ১৬৮, আর এস দাগ নং ৪৫৪৪, আর এস ৪৫৪৬ দাগে ০.৮১ শতক, আর এস ৪৫৪৯ দাগে ০.১৮ শতক, আর এস ৪৫৪৫ দাগে ৩০ শতক। আর এস ৪৫৪৪ দাগে ৫২ শতক, আর এস ৪৫৪৪ দাগে ৩৮ শতক, আর এস ৪৫৪২ দাগে ১.৩৫ শতক ভূমিসহ সকল দাগে ১১ একর বোরো জমি রয়েছে। যা আমাদের মৌরশী স্বত্ব ও খরিদা সম্পত্তি। আমরা বংশ পরম্পরায় ভোগদখলরত আছি এবং সরকারের হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করা আছে।
তিনি বলেন, আমার গ্রামের সাবান চৌধুরী, শিপার চৌধুরী মাফি, মিজান চৌধুরী গংদের সাথে আমাদের গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে গত ২৪ জানুয়ারি সাবান চৌধুরী ও মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বে তাদের অর্ধশতাধিক লোক রামদা, লাটিসোটাসহ এক্সক্যাভেটর মেশিন নিয়ে আমাদের রেকর্ডিয় ভূমির বোরো জমিতে হীরা জাতের হালি চারা গরু-বাছুর দিয়ে খাইয়ে নষ্ট করা হয়। এক্সেক্যাভেটর মেশিন দিয়ে আমার জমির আইলে লাগানো ৮৫টি খরচ গাছ একে একে নিধন করা হয়। পরে উপড়ানো গাছগুলো নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি গণমাধ্যমকর্মীদের দেখানো হয়।
মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি শিপার চৌধুরী মাফি তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচারও করেছেন। আমার ছেলে মিলাদ চৌধুরী বাদী হয়ে এ ঘটনায় আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা আতংকে আছি।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন মনিরুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবান চৌধুরী বলেন, গ্রামের গোচারণ ভূমি এগুলো। নদীর চরেও এরা গরু বাছুর যেতে দেয় না। রাখালদের মারধর করে। এজন্য সারা গ্রাম একত্রিত হয়ে গোচারণ ভূমি উদ্ধার করেছে। তারা জমির যে কাগজ করেছে তাও অবৈধ। গ্রামের উপরও মামলা করেছে এরা। গ্রামবাসীও মামলা করবে।
তিনি বলেন, মনিরুজ্জামান চৌধুরী গ্রামের অনেক ক্ষতি করেছে। নিজেরা অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েও সাধারণ মানুষের গোচারণ ভূমি দখল করে রেখেছে। আমরা এক পরিবারের লোক। কিন্তু আমাকে তো গ্রামের সাথে থাকতে হয়। মানুষের হক ও ন্যায্য বিষয়ের সাথে থাকতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
- কবরস্থানের মাটি কেটে বাঁধে নির্মাণের অভিযোগ
- জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা